৬ উইকেটে জিতলো ভারত

 

স্পোর্টস ডেস্ক: নিদাহাস টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ৬ উইকেটে  হেরেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের দেওয়া ১৪০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ঝড়োগতিতে করলেও চতুর্থ ওভারে রোহিত শর্মার উইকেট হারিয়েছে ভারত। বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্যটি এনে দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। এক ওভারের বিরতিতে ঋষভ পাণ্ডের উইকেট হারিয়েছে ভারত। তাকে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠিয়েছেন রুবেল হোসেন। এরপর অনেকটা সময় দলকে টেনে তুলছিলেন সুরেশ রায়না ও শিখর ধাওয়ান। রায়নাকে ২৮ রানে বিদায় করে তাদের ৬৮ রানের জুটি ভাঙ্গেন রুবেল। এরপর দলীয় ১২৩ রানে ব্যক্তিগত ৫৫ রানে ধাওয়ানকে ফেরান তাসকিন। এরপর শেষের দিকে পাণ্ডে ও কার্তিকের ব্যাটে ভর করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে টিম ইন্ডিয়া।

বাংলাদেশের হয়ে ২ উইকেট নেন রুবেল হোসেন। ১ টি করে নেন মুস্তাফিজ ও তাসকিন।

এর আগে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৩৯ রান। শুরুতে দলে ছিলেন না। নিয়মিত অধিনায়কের ইনজুরি সেরে না ওঠায় সুযোগ হলো দলে। সেই লিটন কুমার দাসই বৃহস্পতিবার ভারতের বিপক্ষে বলার মতো যা রান করলেন। আর দীর্ঘদিন ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া সাব্বির রহমানও ছোট্ট একটি ইনিংস। আর কোন ব্যাটসম্যান দায়িত্ব নিতে পারেননি। জুটিও হয়নি উল্লেখ করার মতো। পঞ্চম উইকেটে লিটন-সাব্বিরের ৩৫ রানই সর্বোচ্চ। ফলে লড়াইয়ের পুঁজি পেলো না টাইগাররা। নিদাহাস ট্রফিতে নিজেরদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ১৩৯ রানের সাদামাটা সংগ্রহ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।

কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই উইকেট হারাতে পারতো তারা। থার্ড ম্যান, ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট ও কভার পয়েন্টের মাঝে উঠিয়ে মেরেছিলেন সৌম্য সরকার। বল পরলো মাঝে। কেউ কল না দেওয়ায় তিন ফিল্ডার দৌড়ে এসে জটলাই পাকালেন। জীবন পেয়ে ১টি করে চার-ছক্কায় ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত ছিল সৌম্যর ব্যাটে। কিন্তু তৃতীয় ওভারে জয়দেব উনাদকাতের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে ধরা পড়লেন শর্ট ফাইন লেগে। ১২ রানে শেষ হয় তার ইনিংস এর দুই ওভার পর আউট হন তামিম ইকবাল। শারদুল ঠাকুরের ওই ওভারের তৃতীয় বলেই এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েছিলেন। রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি। পর পর দুই বলে মারেন দুটি চার। শেষ বলেও মারতে গিয়ে নটঘট পাকিয়ে ফেলেন। ঠিকমতো ব্যাটে না লাগায় বল চলে যায় শর্ট ফাইন লেগে। আর সে ক্যাচ লুফে নিতে কোন ভুল করেননি উনাদকাত। ১৫ রান করেছেন তামিম।

দুই ওপেনারকে হারিয়ে বাংলাদেশের চোখ তখন দলের সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীমের দিকে। শুরুটাও করেছিলেন দারুণ। সেট হয়েছিলেন। কিন্তু নবম ওভারে বিজয় শংকরের বলে উইকেটরক্ষক দিনেশ কার্তিকের হাতে ধরা পড়েন তিনি। শুরুতে যদিও আম্পায়ার আউট দেননি। রিভিউতে দেখা যায় কার্তিকের গ্লাভসে যাওয়ার আগে ব্যাটের কানা ছুঁয়ে যায় বল। আউট হওয়ার আগে ১৮ রান করেন মুশফিক।

তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশ তাকিয়ে ছিল অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর ব্যাটের দিকে। কিন্তু কি করলেন তিনি? ভারতীয় ফিল্ডারদের ক্যাচিং অনুশীলন করিয়ে ফিরলেন ব্যক্তিগত ১ রানে। সুইপার কাভারে দাঁড়িয়ে থাকা শারদুল ঠাকুরের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দেন। ফলে বড় বিপদেই পড়ে যায় টাইগাররা।তবে এক প্রান্তে উইকেটে থিতু হয়েছিলেন লিটন। কিন্তু সেট হয়ে সেই উইকেট বিলানোর মিছিলে যোগ দিলেন তিনিও। ৩০ বলে ৩৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।

এরপর সাব্বির একা কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। ২৬ বলে ৩০ রান করে আউট হন উনাদকাতের বলে কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে। রিভিউ নিয়েছিলেন। টিভি রিপ্লেতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিলো না বল ব্যাট না মাটিতে লেগেছে। তবে ভারতের পক্ষেই যায় সিদ্ধান্ত। এরপর আর কোন ব্যাটসম্যান দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ হলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৯ রানেই শেষ হয় টাইগারদের ইনিংস।

ভারতের পক্ষে ৩৮ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পেয়েছেন উনাদকাত। এছাড়া ৩২ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন বিজয় শংকর।

শর্টলিংকঃ