
ঢাকা: রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছেন পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ।
ঢাক-ঢোল পিটিয়ে গত কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে প্রচারণা চালিয়েছে জাতীয় পার্টি। একাদশ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার এই মহাসমাবেশে লোকসমাগমের রেকর্ড ভাঙার ঘোষণাও আসে। কিন্তু, সমাবেশের দিন শনিবার সকালের বাস্তবতা ভিন্ন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লোকসমাগম মোটামুটি হলেও সমাবেশ মঞ্চে এসে যেন বিব্রতই হলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ ও সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ।
শনিবার (২৪ মার্চ) সকাল সোয়া ৯টার দিকে তিনি সমাবেশস্থলে প্রবেশ করেন। এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান।
এর আগে পার্টির কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দীন বাবলু, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, সালমা ইসলাম, আব্দুস সাত্তার, বিরোধী দলের চিফ হুইফ তাজুল ইসলামসহ পার্টির অন্যান্য নেতাকর্মীরা মঞ্চে আসেন।
এদিকে সমাবেশে অংশ নিতে সকাল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মিছিল সহকারে প্রবেশ করছেন জাতীয় পার্টি ও সম্মিলিত জোটের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা নির্বাচনী বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু না হলেও সাংস্কৃতিক মঞ্চ থেকে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশিত হচ্ছে।
মূল মঞ্চের পশ্চিম পাশে নির্মাণ করা হয়েছে ছোট আরেকটি মঞ্চ। সেই মঞ্চ থেকে গান পরিবেশন করছেন শিল্পীরা। বাউল শিল্পীদের গানের সঙ্গে তাল মেলাচ্ছেন সমাবেশে আসা কর্মী-সমর্থকরা।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এ মহাসমাবেশ থেকে আগামী নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন, দেবেন রাজনীতিতে নতুন বার্তা। সমাবেশ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুনে সাজানো হয়েছে মাঠ ও আশপাশের এলাকা। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছবিসংবলিত ব্যানার-পোস্টার দিয়ে সমাবেশের চারপাশ সাজানো হয়েছে। উদ্যানের ঠিক মাঝখানে উত্তরমুখী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন মোড় পর্যন্ত মাইক লাগানো হয়েছে। কাকরাইল মসজিদ মোড় থেকে শাহবাগ পর্যন্ত সড়কদ্বীপে লাগানো হয়েছে নানা রং-বেরং-এর পতাকা।
১৯৮২ সালের এই দিনে অর্থাৎ ২৪ মার্চ জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে সরিয়ে দেশের কর্তৃত্ব নেন। এরশাদের ক্ষমতাগ্রহণের এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতেই ২৪ মার্চ সমাবেশ করছে বলে জাপা নেতারা জানান।