বগুড়া : সোনাইমুড়িতে ধর্মব্যবসায়ীদের উস্কানিতে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের আসামীদের বিচারের দাবিতে হেযবুত তওহীদের সংবাদ সম্মেলন করেছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বগুড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে হেযবুত তওহীদ বগুড়া জেলা শাখা এ সংবাদ সম্মেলন করেছে।
জেলা শাখার সভাপতি খাজা আহম্মেদ রতন এক লিখিত বক্তব্যে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দুই বছর আগে সোনাইমুড়িতে স্থানীয় দাঙ্গা সৃষ্টিকারী আলেমরা নিকটবর্তী এলাকার বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে তাদের ছাত্রদের নিয়ে হেযবুত তওহীদের এমামের বাড়িতে আক্রমণ করে। সেখানে পনের বছর থেকে অপপ্রচার চালানো হয়েছে যে হেযবুত তওহীদের সদস্যরা নাকি নামাজ পড়ে না। তাদের এই কথাটির মিথ্যা কারণ আমার যথযথভাবেই নামাজ পড়ি, কেবল যে ইমামগণ নামাজ পড়ানোর বিনিময়ে অথং গ্রহন করে তাদের পেছনে পড়ি না। এর কালণ আল্লাহ ধমীয় কাজের বিনিয়ম গ্রহণকে হারাম করেছে।
ধর্মব্যবসায়ীদের এই রটনা যে ভুল তা মানুষের সামনে সুষ্পষ্ট করার জন্য আমরা একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেই।তখন ধর্মব্যবসায়ীরা নতুন করে প্রচারে নামে যে, হেযবুত তওহীদ খিস্ট্রান, তারা গির্জা নির্মাণ করছে। তারা সকল থেকে স্থানীয় কয়েকটি মাইকে বলতে শুরু করল যে গির্জা ভাঙ্গো খ্রিসটান মরো। তাদের উসকানিতে স্থানীয় জামায়াত, শিবির ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, হেফাযতে ইসলামের সন্ত্রাসীরাসহ মাদ্রাসার উন্মাত্ত ছাত্র-শিক্ষকগণ নির্মাণাধীন মসজিদটিকে গুড়িয়ে দিল। ৫ ঘন্টা ধরে এ তান্ডব চালিয়েছিল তারা সেইদিন। এই আক্রমণে অনেকেই আহত হয়েছিল, এর মধ্যে সোলায়মান খোকন ও ইব্রাহিম রুবেল আমাদের দুজন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। সেই দিনের সেই হামলায় জড়িতদের সকলকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান। এসময় বগুড়া জেলাসহ বিভিন্ন শাখার হেযবুত তওহীদের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।