সেনাবাহিনী আরও যুগোপযোগী বাহিনীতে পরিণত হবে: রাষ্ট্রপতি

সেনাবাহিনী আরও যুগোপযোগী বাহিনীতে পরিণত হবে: রাষ্ট্রপতি

নীলফামারী: বর্তমান সরকারের রূপকল্প ২০২১’র আলোকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফোর্সেস গোল-২০৩০ চূড়ান্তকরণ ও পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে। এটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি পরিপূর্ণ, আধুনিক, কার্যকর ও আরও যুগোপযোগী বাহিনীতে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বুধবার (২৮ মার্চ) সৈয়দপুর সেনানিবাসে দুই দিনব্যাপী ইএমই কোরের কর্নেল কমান্ড্যান্ড অভিষেক অনুষ্ঠান, বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলন এবং পঞ্চম কোর পূণর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পূণর্মিলনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে অনুষ্ঠিত প্যারেডে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. আবদুল হামিদ। সৈয়দপুর সেনানিবাসে প্যারেড গ্রাউন্ডে দুপুর ১২টায় তিনি প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম স্মরণ করে বলেন, যাঁর আহবানে দীর্ঘ নয় মাসের মরণপণ যুদ্ধের মাধ্যমে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন সেই ইএমই কোরের সদস্যসহ যারা শহীদ হয়েছেন তাদের কথা চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে জাতি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে সীমিত সম্পদ দিয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গঠনে উদ্যোগী হন এবং তাঁর নেতৃত্বই বর্তমান সেনাবাহিনীর গোড়াপত্তন হয়। এ বাহিনীর সদস্যরা বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও তাদের কৃতিত্বপূর্ণ ভূমিকা দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে।

সেনাবাহিনী আরও যুগোপযোগী বাহিনীতে পরিণত হবে: রাষ্ট্রপতি

ইএমই কোর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ কারিগরী কোর। তাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই যুগে দেশের সেনাবাহিনীতে এখন ব্যবহৃত হচ্ছে সর্বাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জামাদি। এসময় ইএমই কোরের সদস্যদের কঠোর পরিশ্রমী, অধ্যাবসায় ও উন্নত প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

সামরিক জীবনে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৪ সাল থেকে পুরুষ রিক্রুটদের পাশাপাশি নারী রিক্রুটদের প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে। তাদের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

বর্তমান সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে ইএমই কোরের সাংগঠনিক ও অবকাঠামোতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে প্যারেড কমান্ডার লে. কর্নেল সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান, কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মাসুদ রোজোয়ান, কমান্ড্যান্ড ইএমইসিএন্ডএসএস ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুব আনোয়ার, ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও রংপুর এরিয়া কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাসুদ রাজ্জাক, নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম, পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শর্টলিংকঃ