স্টাফ রিপোর্টার : গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে দ্বিতীয় দফা উপনির্বাচন আজ মঙ্গলবার। নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তার প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়ার পর এ আসনে গত বছরের ২২ শে মার্চ উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।এতে আওয়ামীলীগের প্রার্থী গোলাম মোস্তফা নির্বাচিত হন। কিন্তু তিনি গত ১৮ নভেম্বর সুন্দরগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মারা গেলে আসনটি পুনরায় শুন্য হয়।পরে নির্বাচন কমিশন থেকে দ্বিতীয় দফা উপনির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হয়। সেই অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার উপনির্বাচন হচ্ছে। সকাল ৮ টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীন ভাবে চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত।
এ নির্বাচনে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৪ জন পুরুষ ও ১ লাখ ৭৩ হাজার ৬২২ জন নারীসহ মোট ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫৬ জন ভোটারের জন্য ১০৯ কেন্দ্রের ৬৪৭ টি বুথে ভোট গ্রহণের জন্য ১০৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৬৪৭ জন সহকারি প্রেজাইডিং অফিসার ও ১ হাজার ২৯৪ জন পুলিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।তারা ভোট ভোটগ্রহণের যাবতীয় উপকরণাদীসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রে পৌঁছেন। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন।
এদিকে, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পুলিশ, আনসার ও আনসার ব্যটালিয়নসহ বিভিন্ন আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৪ হাজার ৩৮৬ জন সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়াও সাদা পোশাকে কয়েকটি স্তরের নজরদারির পাশাপাশি সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছেন ৮ প্লাটুন বিজিবি, ৮ প্লাটুন র্যাব, পুলিশ মোবাইল টিম, পুলিশ স্ট্রাইকিং ফোর্স, এপিডিএন মোবাইল টিম ও এপিবিএন স্ট্রাইকিং টিম। নিরাপত্তা প্রসঙ্গে. গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল ‘বাংলাদেশের খবরকে’ বলেন, নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন চারজন প্রার্থী।তারা হলেন- আওয়ামীলীগের আফরোজা বারী, জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি, গণফ্রন্টের শরিফুল ইসলাম ও এনপিপির প্রার্থী জিয়া জামান খাঁন। এই চার প্রার্থীর মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হতে পারে আওয়ামীলীগের সঙ্গে জাপার। আওয়ামীলীগের প্রার্থী আফরোজা বারী বলেন, আশা করি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। নৌকার জয় হবে।’ জাপার প্রার্থী ব্যারিস্টোর শামিম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছি। ভোটাররা বেশি উপস্থিত হলে লাঙ্গল বেশি ভোট পাবে।