সাদুল্যাপুর থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, ১৪/১৫ বছর আগে খায়রুননেছার মেয়ে শাহানা আকতার শেলির সাথে সাইফুল ইসলামের বিয়ে হয়। তাদের দুটি সন্তান আছে। স্বামীর নির্যাতনে সহ্য করতে না পেরে গত তিন মাস আগে শাহানা আকতার স্বামীকে তালাক দেন। তারপর থেকে সাইফুল প্রায়ই মোবাইল ফোনে শ্বাশুড়ী ও শ্যালকদের হুমকি দিতেন ।
তিনি আরো জানান, ঘটনার দিন রাতে খায়রুননেছাকে মেয়ে জামাই সাইফুল মোবাইল ফোনে বাড়ীর অদুরে মসজিদের সামনে কথা বলার জন্য ডাকেন। সেখানে যাওয়ার পর কথাকাটাকটির একপর্যায়ে শ্বাশুড়ীর পিঠে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান সাইফুল। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবাসিক চিকিৎসক ডাঃ হারুন অর রশিদ জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে তিনি পথেই মারা গেছেন।
ওসি বলেন, লাশের সুরতাহাল করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।