মেসি কেন খেললেন না? রোনালদো ঠিকই খেলতেন!

স্পেনের কাছে ৬-১ গোলে হারের পর দেশে ফিরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি আর্জেন্টিনা কোচ হোর্হে সাম্পাওলি। এজেইজা বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকেই গাড়ি চেপে সরাসরি আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে (এএফএ) চলে যান খেলোয়াড়েরা। প্রীতি ম্যাচে বাজে এ হারের পর গোটা আর্জেন্টিনা রীতিমতো হতবিহ্বল। কেউই যেন মেনে নিতে পারছেন না এই হার। কেউ কেউ বলছেন, মেসি থাকলে ম্যাচের ফল এমন নাও হতে পারত। হোক না প্রীতি ম্যাচ, স্পেন যেহেতু প্রতিপক্ষ ছিল, তাই একটু দেশের জন্য ঝুঁকি মেসি নিতেই পারতেন। আর্জেন্টিনার সাবেক গোলরক্ষক হুগো গাত্তিও এই দলেই।

ফুটবল মৌসুম প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল-পর্ব শুরু হবে আর কিছুদিন পর। এরই মধ্যে হয়েছে প্রীতি ম্যাচগুলো। স্বাভাবিকভাবেই খেলোয়াড়েরা ঝুঁকিটা একটু কম নেবেন। লিগ বা চ্যাম্পিয়নস লিগ বাদ দিলেও বড় বড় খেলোয়াড় অনেকের ভাবনাতেই আছে জুনে রাশিয়ার বিশ্বকাপ। এই সময় সামান্যতম চোটের শঙ্কা নিয়েও খেলোয়াড়েরা অন্তত প্রীতি ম্যাচে যে নামবেন না, সেটা সবাই জানে। মেসিও সেদিন নামেননি। ম্যাচের ঠিক আগ দিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে সমস্যা অনুভব করায় কোনো ঝুঁকি তিনি নেননি। ইতালির বিপক্ষে আগের ম্যাচটাও মেসি খেলেননি অবসাদগ্রস্ততার কারণে, ওটা কিন্তু আর্জেন্টিনা জিতেছে।

গাত্তি খেলোয়াড়ি জীবনে ‘ম্যাড ম্যান’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি অতশত বোঝেন না। দেশের খেলা, দেশের টানেই জার্সিটা গায়ে দিতে হবে। চোটের পরিমাণ বেশি হলে ভিন্ন কথা। সামান্য চোটকে আমলে নিয়ে মেসির মতো একজন কেন বসে থাকবেন, ব্যাপারটা কিছুতেই মাথায় ঢুকছে না তাঁর। স্পেনের বিপক্ষে তাঁকে দরকার ছিল বলে মনে করছেন গাত্তি। তাঁর ভাষ্য, মেসির জায়গায় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো হলে ঠিকই দেশের ডাকে সাড়া দিতেন, ‘মেসিকে (স্পেনের বিপক্ষে) খেলতে হতো। সবাই তাঁকে দেখতে চেয়েছে। ক্রিস্টিয়ানো হলে ঠিকই খেলত।’

আর্জেন্টিনার হয়ে (১৯৬৬-৭৭) ১৮ ম্যাচ খেলা এ গোলরক্ষক খেলোয়াড়ি জীবনে নিজের পজিশন ছেড়ে ডিফেন্সও সামলেছেন! এ ছাড়া বল নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ পারদর্শী ছিলেন ৭৩ বছর বয়সী গাত্তি। আর্জেন্টিনা প্রিমেরা ডিভিশনে যুগ্মভাবে সর্বোচ্চ ২৬টি পেনাল্টি ঠেকানোর রেকর্ড আছে।

লা লিগায় শনিবার সেভিয়ার মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। মেসি চোটে পড়ায় এ ম্যাচে তাঁর খেলা নিয়ে শঙ্কায় থাকার কথা বার্সা কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দের। কিন্তু বার্সা কোচ মেসির চোটকে সেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তাঁর এটা ছোটখাটো সমস্যা। ভালভার্দের ভাষ্য, ‘এটা সত্য যে তাঁর কিছু ছোটখাটো সমস্যা হয়েছে। কিন্তু এটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়।’

শর্টলিংকঃ