ডেক্স রিপোর্ট : মালদ্বীপের প্রধান বিচারপতি জরুরি অবস্থা জারির পর গ্রেফতার হয়েছেন।এ ছাড়াও দেশটির প্রায় তিন দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা সাবেক রাষ্ট্রপতি মামুন আব্দুল গাইয়ুম আটক হয়েছেন।
বিবিসির সংবাদদাতা অলিভিয়া ল্যাঙ এখন থেকে প্রায় দুই ঘন্টা জানিয়েছেন,মালদ্বীপে মানুষ ভীত-শঙ্কিত অবস্থায় রয়েছেন। রাত থেকে সুপ্রিম কোর্ট ঘিরে রেখেছে পুলিশ। আদালতে যেসব বিচারপতিরা ছিলেন তারা সবাই সেখানে আটকে রয়েছেন।
দেশটির উচ্চ আদালতের দেওয়া একটি ঐতিহাসিক আদেশকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সংকট আরও ঘনীভূত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সন্ধ্যায় ১৫ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। মালদ্বীপের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হুসনু আল সুদ বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনী সুপ্রিম কোর্ট ঘিরে রেখেছে। এর ফলে বিচারকরা ভেতরে আটকা পড়ে। সেখানে তাদেরকে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে না।
জরুরি অবস্থা জারির মধ্য দিয়ে সন্দেহভাজনদের আটক ও গ্রেফতারের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এক তরফা ক্ষমতা দেওয়া হয়। ফলে দেশটিতে চলমান সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট আরও ঘনীভূত হয়। এর আগে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন সুপ্রিম কোর্টকে তাদের দেওয়া কয়েকটি আদেশ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট বরাবর লেখা চিঠিতে এ অনুরোধ জানান।
এদিকে, কোর্ট বিরোধী ৯ নেতার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার আনা সরকারের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তাদেরকে মুক্তির নির্দেশ দেন। এছাড়াও গত বছর সুপ্রিম কোর্টের আদেশে বরখাস্ত হওয়া বিরোধীদলের ১২ সংসদ সদস্যকেও পুনবহালের আদেশ দেওয়া হয়। এসব আদেশ বাস্তবায়ন হলে প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন অভিশংসিত হতে পারেন বলে গুঞ্জনের মুখে রবিবার তা বাতিল করা হয়।
সোমবারের ঘোষিত পার্লামেন্ট অধিবেশনে দেশটির সরকার ১৫ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে সংসদ স্থগিত করে দেয়ার পরপরই ধরপাকড় শুরু হয় । আটক হন বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিনের সৎ ভাই সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আব্দুল গাইয়ুম। তার বিরুদ্ধেও সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়। পরে প্রধান বিচারপতিকে গ্রেফতারের খবর প্রকাশ পায়।
অপরদিকে, মালদ্বীপে জারি করা জরুরী অবস্থা প্রত্যাহার করার জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র বিষয়ক সেক্রেটারি বরিস জনসন। আর অ্যামেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল এক টুইট বার্তায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, মালদ্বীপে কি হচ্ছে সারা দুনিয়া সেদিকে খেয়াল রাখছে।