ডেস্ক রিপোর্ট : সোনালী ব্যাংকে মাত্র ১শ’ টাকার একটি ব্যাংক ড্রাফট জমা দিয়ে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে নিয়োগ পেলেন ১১১ জন। আর এ দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন।
দেশের অন্য জেলার মতো কক্সবাজারেও পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেয়ার পর প্রায় ৬শ’ নারী পুরুষ লাইনে দাঁড়ায়। তার মধ্যে প্রাথমিক বাছাইয়ে আসে ৫০১ জন। এরপর ৪ মার্চ লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করে ২৩৩ জন। সবশেষ শিক্ষানবিশ পুলিশ কনস্টেবল ( টি আর সি) হিসেবে চূড়ান্ত নিয়োগ পান ১১১ জন। এর মধ্যে ৯০ জন পুরুষ, ১৭ জন নারী ও ৪ জন আদিবাসী।
নিয়োগ পাওয়া কুতুবদিয়ার বড় ঘোপের আব্দুল মুবিন জানান: তার বাবা, ভাই-বোন কেউ নেই। আছে শুধু মাত্র মা, তার মা আয়েশা বেগম রাস্তায় মাটি কেটে ও কংকর ভেঙে দিন মজুরের কাজ করে তাকে পড়ালেখা করায়।
মুবিন বলেন, ১শ’ টাকায় যে আমার চাকরি হবে তা আমি জীবনে কল্পনাও করতে পারিনি। মাকে একটু বিশ্রাম দিয়ে নিজে কিছু করার চেষ্টা করছি অনেক দিন থেকে। কিন্তু দিন মজুর মায়ের ছেলে বলে টাকার অভাবে কোন চাকরি হয়নি। বন্ধুদের কাছে খবর পেয়ে পুলিশে ভর্তি হওয়ার জন্য কুতুবদিয়া থেকে কক্সবাজার এসে লিংক রোডের মামার বাসায় উঠি।
কুতুবদিয়া সোনালী ব্যাংকে মাত্র ১শ’ টাকার একটি ব্যাংক ড্রাফট জমা দিয়ে আমার চাকরি হয়ে গেল। এ খবর শুনে আমার মা যে কী খুশি হয়েছে তা বলার মতো না।
এ বিষয়ে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন বলেন, পুলিশ কনস্টেবল ভর্তি নিয়ে কড়া নির্দেশ ছিল নবাগত মহাপুলিশ পরিদর্শকের। স্যারের নিদের্শ পেয়ে আন্তরিকতা নিয়ে দায়িত্ব পালন করেছি। কনস্টেবল ভর্তির জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টারের টিম ছিল। পাশপাশি আমার সহকর্মীরাও আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করেছে বলে এটি সম্ভব হয়েছে।