ভাড়াটে শিক্ষক দিয়ে চলছে বিদ্যালয়

স্টাফ রিপোর্টার :  ভাড়াটে শিক্ষক দিয়ে চলছে সুন্দরগঞ্জের বোচাগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোকলেছুর রহমানসহ সহকারী শিক্ষকরা  ইচ্ছা হলে স্কুলে আসেন, না হলে না আসেন। স্থানীয়রা জানান, ১৯৭২ সালে স্থাপিত এই বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ করা হয় ২০১৩ সালে। কাগজ কলমে ওই শিক্ষক রয়েছেন ৫ জন ও ছাত্র-ছাত্রী ৯৪ জন। শিক্ষকরা ইচ্ছা মাফিক চলাফেরা করায় বাধ্য হয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী নুর হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করার জন্য নিয়েছেন। বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের উপস্থিত হতে দেরি হলে তিনি ক্লাস নেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান শিক্ষক মো. মোকলেছুর রহমান অফিস কক্ষে ও নুর হোসেন তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছেন। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কক্ষে কোনো শিক্ষক নেই। শিক্ষার্থীরা গল্পগুজব করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিভাবক বলেন, এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রায় প্রতিদিনই দুপুরের দিকে বিদ্যালয়ে আসেন।েএর কিছুক্ষণ পর আবার বিদ্যালয় বন্ধ করে চলেও যান।

নুর হোসেন বলেন, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির নির্দেশে আমি বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস নিই। এর বিনিময়ে মাসে সাড়ে চার হাজার টাকা করে পাই। কিন্তু এই টাকা কোথায় থেকে আসে সেটা আমি জানি না।

প্রধান শিক্ষক মোকলেছুর রহমান বলেন, সহকারি শিক্ষকরা প্রায়দিনই দেরি করে বিদ্যালয়ে আসেন। সে সময় শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে বসে গল্প করে। বারবার সাবধান করেও তাদেরকে মাসের বেশিরভাগ দিনই নির্ধারিত সময়ে বিদ্যালয়ে পাওয়া যায় না।

দেরীতে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম বলেন, কামারজানী ঘাটে নৌকা না পাওয়ার কারণে শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে আসতে দেরি হয়। তবে এটা প্রতিদিন হয় না, মাঝেমধ্যে হয়। এজন্য নুর হোসেন নামের একজনকে নেয়া হয়েছে। শিক্ষকরা দেরিতে আসলে যাতে তিনি শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে পারেন।

শর্টলিংকঃ