
ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ভালুকার মাস্টারবাড়ি এলাকায় একটি ৬ তলা ভবনের ৩ তলায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনার ঘটেছে। একই সঙ্গে ভবনের ভেতরে খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের(কুয়েট) চার শিক্ষার্থী ছিলেন বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।
ঘটনার পর পরই ময়মনসিংহ থেকে ভালুকায় ছুটে যান এসপি সৈয়দ নুরুল ইসলাম। তিনি ভবনটির ভেতরে প্রবেশ করেন। ভবন ঘুরে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, ৬ তলা ভবনটির তৃতীয় তলার পেছনের পার্টিশন ওয়াল ও জানালার গ্লাস ভেঙে গেছে। জানালার অ্যালুমিনিয়ামের স্ট্রাকচারও পড়ে আছে।
তিনি জানান, ঘটনার সূত্রপাত খুঁজছে পুলিশ। তবে ওই ভবনের ভেতরে চার শিক্ষার্থী ছিলেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে পুরো ভবনটি বিধ্বস্ত অবস্থায় রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ঘটনার সূত্রপাত কীভাবে এ বিষয়টি আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি ভবনটির তৃতীয় তলায় চার শিক্ষার্থী থাকতেন। তারা মাস্টার্স সম্পন্ন করে স্থানীয় টেক্সটাইল মিলে ইন্টার্ন করছিলেন।

এর আগে রাত ১ টার দিকে ওই ভবনটিতে বিস্ফোরণে একজন নিহত ও তিনজন আহত হন। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম তৌহিদ, আহত হয়েছেন শাহীন,ফিজ ও দীপ্ত। আহতদের মধ্যে শাহীনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, হাফিজ ও দীপ্ত সরকারকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এসপি জানান, একটি জানালা ও বারান্দার ৫০ কেজি ওজনের গ্রিল কমপক্ষে ৫০ মিটার দূরে গিয়ে পড়েছে। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এমনটি ঘটেছে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্যাস বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে এটি সিলিন্ডার কিনা তা এখনো বলা যাচ্ছে না। একই সঙ্গে এটি জঙ্গি আস্তানা ছিল কিনা এ বিষয়টিও নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে, এ বিস্ফোরণের খবরে বাড়িটির চারপাশ ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ঢাকা থেকে বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এখানে এসে পৌঁছানোর পুরো বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান এসপি সৈয়দ নুরুল ইসলাম।