খুলনা : খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৫ জেলায় ধর্মঘট পালন করছে জ্বালানি তেল পরিবেশক ও ট্যাংকলরি মালিক সমিতি। খুলনা-যশোর রোড সংস্কারের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখে এ ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে। ধর্মঘট শেষ হবে বুধবার সকাল ৯টায়।
খুলনা বিভাগের ১০জেলা ও বৃহত্তর ফরিদপুরের ৫ জেলায় এ ধর্মঘট পালিত হচ্ছে। খুলনা বিভাগের ১০জেলার মধ্যে রয়েছে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, নড়াইল, মাগুরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর এবং ৃৃহত্তর ফরিদপুরের ৫টি জেলা হচ্ছে, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ।
খুলনা মহানগরীর খালিশপুরের কাশিপুরে মেঘনা তেল কোম্পানির ডিপোর গেটের সামনে ধর্মঘটের সমর্থনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন মালিক, শ্রমিক ও চালকরা। গত রবিবার নগরীর খালিশপুরের কাশিপুরস্থ কার্যালয়ে খুলনা বিভাগীয় জ্বালানি তেল পরিবেশক ও ট্যাংকলরি শ্রমিক মালিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকে এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।
ট্যাংকলরি খুলনা বিভাগীয় মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরহাদ হোসেন জানান জানান, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় খুলনা-যশোর রোডে গাড়ি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিটুমিন, কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে সড়কজুড়ে। খানাখন্দে পড়ে প্রতিদিন নানা দুর্ঘটনায় পড়ে ট্যাংকলরির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। চালকরা এখন আর গাড়ি চালাতে চায় না। এ সড়কটি প্রায় দু’বছর ধরে ভাঙ্গা, খানা খন্দ হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
তিনি বলেন, সড়কটির সংস্কারের দাবিতে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখে প্রতিবাদস্বরূপ আমরা ধর্মঘট পালন করছি। আশা করছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অচিরেই সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করবেন। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে স্থায়ী ভাবে ট্যাংকলরিসহ সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ হবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
পদ্মা তেল ডিপোর ইনচার্জ মো. শওকত হোসেন জানান, আমাদের ডিপোর অভ্যন্তরীণ সকল কাজ সকাল থেকে যথারীতি চলছে। ট্যাংকলরি মালিকদের ধর্মঘটের কারণে কোন ট্যাংকলরি কর্তৃপক্ষ জ্বালানি তেল উত্তোলন করতে আসেননি।