বিশ্বের ৬টি বিপদজনক রেলপথ

অনেকেই ভ্রমণের ক্ষেত্রে রেলপথকে পছন্দ করে থাকেন। ঝামেলাহীন রেলপথ ভ্রমণের অভিজ্ঞতাও কেউ কেউ নিকটজনের কাছে বর্ণনা করে থাকেন। তবে বিশ্বে এমন কিছু রেলপথ রয়েছে যেখানে ভ্রমণ করলে আনন্দের সঙ্গে যোগ হবে ভয়াল অভিজ্ঞতা। এমনই কিছু বিপদজনক রেলপথ নিয়ে পরিবর্তনের এবারের আয়োজন।

আউটেনকি চু-টজো ট্রেন, দক্ষিণ আফ্রিকা:

আফ্রিকা মহাদেশে এই রেলপথ দিয়েই সর্বশেষ বাষ্পীয় ইঞ্জিন চালিত ট্রেন চলাচল করে। রেলপথের নির্মাণ কাজ ১৯২৮ সালে সম্পন্ন হওয়ার পর থেকে তা নিয়মিত ব্যবহার হয়ে আসছিল। অবশ্য ২০০৯ সালের জুন মাসেই এই পথ দিয়ে বাষ্পীয় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এই পথ দিয়ে যারা চলাচল করেছেন তাদের হয়েছে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা। টানা ৩ ঘণ্টার যাত্রার মাঝে কাইমান্স নামের একটি সেতু পার হতে হয়। সেই সময় অনেক সাহসী মানুষও আতঙ্কে হিম হয়ে যান।

 

এসো মিনামি রুট, জাপান:

পাহাড় আর বনের মাঝ দিয়ে যাওয়া এই রেলপথ দিয়ে যেতে হলে সাহসী হওয়া চাই।

৩. আরগো গেড ট্রেন রেল রোড, ইন্দোনেশিয়া:

জাকার্তা শহরের সঙ্গে সংযোগ থাকা এই রেলপথে ভ্রমণ করতে গেলে অনেক সাহসী মানুষেরই বুকের পাটা থাকতে হবে। বিশেষ করে যাদের উচ্চতা ভীতি রয়েছে তাদের এই পথে না যাওয়াই ভালো। ১৯০৬ সালে ৩শ’ মিটার দীর্ঘ এই রেলপথ চালু হয়। যদিও এর কাজ শুরু হয় ১৮৮১ সালে।

 

 

ডেথ রেলওয়ে, থাইল্যান্ড:

বিপদজনক হওয়ার কারণে এই রেলপথের নামই হয়েছে ডেথ রেলওয়ে বা মৃত্যু রেলপথ। যদিও প্রকৃত নাম বার্মা-সিয়াম রেলপথ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ১৯৪৩ সালে ৪১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথটি জাপান সম্রাটের অর্থায়নে নির্মিত হয়। এই পথটি ব্যাংকক, থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমারের রেঙ্গুনের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করছে। দুর্গম এই রেলপথটি অবশ্য ১৯৪৭ সালে বন্ধ হয়ে যায়। তবে এর দশ বছর পর আবারও চালু করা হয় বিপদজনক হিসেবে পরিচিত রেলপথটি।

 

চেন্নাই-রামেশ্বরাম রেলপথ, ভারত:

সমুদ্রের মাঝ দিয়ে যাওয়া এই রেলপথ যারা পারি দেন তাদের হয় রোমহর্ষক অভিজ্ঞতা। ভারতের পবন দ্বীপের সঙ্গে রামেশ্বরামের সংযোগ করা এই রেলপথটি ১৯১৪ সালে চালু হয়। সেই সময় এটি ভারতের সবচেয়ে দীর্ঘ সমুদ্র রেলপথ হিসেবে পরিচিত ছিল। রেলপথটিতে ভ্রমণের সময় মনে হবে যেন সমুদ্রের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ট্রেন। পাশ দিয়েই দেখা মিলবে নানা নৌযানের।

 

৬. ট্রেন লাস নুবাস, আর্জেন্টিনা:

দুনিয়ার সবচেয়ে ভয়ানক রেলপথ হিসেবে কুখ্যাতি রয়েছে এর। দেশটির সালতা প্রদেশে অবস্থিত এই রেলপথ দিয়ে এখনও পর্যটকদের জন্য বিশেষ ট্রেন চলাচল করে। চিলি সীমান্তবর্তী এই পথটি সমুদ্রসীমা থেকে প্রায় ১৪ হাজার ফুট উপরে অবস্থিত। ট্রেনের জানালা দিয়ে ভুলেও যদি কেউ নিচের দিকে তাকান তবে গলা শুকিয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক! সুত্র : পরিবর্তন ডটকম।

 

শর্টলিংকঃ