
স্টাফ রিপোর্টার : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কাটাখালী নদী এখন বালুদস্যুদের দখলে। এনিয়ে পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশ হলে ২/১ দিন বালু তোলা বন্ধ থাকে । পরে একটি বিশেষ মহলের ইঙ্গিতে আবার শুরু হয়।
স্থানীয়রা জানান, এ উপজেলায় প্রায় ২২ কিলোমিটার জুড়ে কাটাখালী নদী বয়ে গেছে। এর মধ্যে সাহেবগঞ্জ,তরফমনু,কাইয়াগঞ্জ, চাঁদপুর খলসি, হাতিয়াদহ, বালিয়ামারী, খানসাপাড়া, তাজপুর, চন্ডিপুর, শিকশহর, সমসপাড়া, বড়রঘুনাথপুর, শ্যামপুর, মালাধর কানিপাড়া, পার ছয়ঘড়িয়া, উত্তর ধর্মপুর, কাজলা, নাঁওভাঙ্গা, রাখালবুরুজ, বিষপুকুর, কাজিপাড়া, হরিনাথপুর, পারসোনাইডাঙ্গা, সোনাইডাঙ্গা, মহিমাগঞ্জ বালুয়া, বোচাদহ ও মজিদের ঘাটসহ প্রায় অর্ধমত স্থানে ভূগর্ভ থেকে স্যালো মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। স্থানীয় এক শ্রেণির ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করে আসছেন।
আব্দুস সামাদ নামে মহিমাগঞ্জ এলাকার এক ব্যক্তি জানান, তিনি সব আট-ঘাট মিটিয়ে নদী থেকে মেশিন দিয়ে বালু তুলছেন। এ ছাড়াও তাদের একটি সংগঠন রয়েছে। কোন বালুদস্যুর সমস্য হলে ওই সংগঠনের নেতারা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে বসে সমাধান দেন। এ ভাবে কর্মকর্তাদের সাথে তাদের সমঝোতা হয়ে যায়। ফলে এরপর থেকে তাদের আর কোন সমস্যা হয়না।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মাসে ভূ-গর্ভ থেকে মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ভ্রাম্যমার আদালত পরিচালনা করে তাদের অনেক কে অর্থদন্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। অনেকে সাজা মুক্ত হয়ে পুনরায় বালু উত্তোলনের ব্যবসা চালাচ্ছেন। শিঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।