বগুড়ায় শিক্ষা অফিসারসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা


বগুড়া : বগুড়া শাজাহানপুরের রূপিহার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার নুর আলম বাবু ও আছিয়া বিবি নামে ২ ব্যক্তি বাদি হয়ে শাজাহানপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ ১৩জনকে বিবাদী করে জেলা বগুড়ার ১ম সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে এই মামলা (নং-১১৭/১৮ অন্য) দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রূপিহার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের লক্ষ্যে গত বছরের ১৩ মে বিদ্যালয় চত্তরে জনপ্রতিনিধি, অভিভাবক ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মামলার বাদি রূপিহার গ্রামের হযরত আলীর পুত্র সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা নূর আলম বাবুকে ১নং পুরুষ ও একই গ্রামের মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহর স্ত্রী আছিয়া বিবিকে ১নং মহিলা সহ ৩জন পুরুষ ও ৩জন মহিলাকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য করে প্রস্তাব পত্র তৈরী করে এমপির চুড়ান্ত মনোনয়নের সুপারিশ প্রাপ্তীর জন্য রেজুলেশন গৃহিত। প্রস্তাব পত্রের ২নং পুরুষ আব্দুল মতিন ও ২ নং মহিলা হোসনেয়ারাকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে সুপারিশ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এড আলতাব আলী। পরবর্তিতে ২নং পুরুষ আব্দুল মতিন একজন ফৌজদারী মামলার আসামী জানতে পেরে ওই সুপারিশ পত্র বাতিল করে ১নং পুরুষ নূর আলম বাবু ও ১নং মহিলা আছিয়া বিবিকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে পুনরায় সুপারিশ পত্র প্রদান করেন এমপি আলতাব আলী। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক বিবাদীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এমপিও ডিও লেটার গ্রহন করতে অস্বীকার করেন। বাধ্য হয়ে আইনজীবির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক বরাবর রেজিস্ট্রী ডাকযোগে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। যার অনুলিপি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরও প্রেরণ করা হয়েছে। এভাবে বাদিগন বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা সত্তেও প্রধান শিক্ষক পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন না করে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে সভাপতি করে এডহক কমিটি গঠন করেন। এমতাবস্থায় বাদীগনের আইনী অধিকার সম্পর্কে লিখিত ও মৌখিক ভাবে অবগত হওয়ার পরও কোন প্রকার তথ্য অনুসন্ধান না করে এডহক কমিটি অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সম্পূর্ণ অন্যায়, বেআইনী ভাবে এমপির বাতিলকৃত সুপারিশ পত্রের বিদ্যোৎসাহী সদস্যদের নিয়ে ৩১ ডিসেম্বর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেন।

এঘটনায় নুর আলম বাবু ও আছিয়া বিবি বাদি হয়ে শাজাহানপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদ রানাকে ১নং বিবাদী ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জহুরুল আলম জিসানকে ২নং বিবাদী সহ ১৩জনকে বিবাদী করে জেলা বগুড়ার ১ম সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে এই মামলা (নং-১১৭/১৮ অন্য) দায়ের করেন। অপর বিবাদীগন হলেন শ্রী দিলীপ চন্দ্র রায়, নুরুন্নবী মিয়া, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেকা, ছন্দা মৌসুমী বেগম, আব্দুল মতিন, ইউনুছ আলী, ছালমা বেগম, রঞ্জনা বেগম, হোসনে আরা, সিরাজুল ইসলাম খলিলুর রহমান। এঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্দ পাওয়া গেছে। এডহক কমিটির সভাপতি উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জহুরুল আলম জিসান জানান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার তদন্তান্তে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং উপজেলা শিক্ষা কমিটি তা চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এখানে অনিয়মের কিছু নেই। আদালতে মামলা হয়েছে আদালতের মাধ্যমেই তার পরিসমাপ্তি ঘটবে।

শর্টলিংকঃ