আলমগীর হোসেন, বগুড়া:
বগুড়ায় রূপালী ব্যাংক লিমিটেড মহাস্থানগড় শাখার গ্রাহকের করা বেশ কয়েকটি ফিক্সড ডিপোজিট রিসিপট (এফডিআর) এর বিপরীতে ভুঁয়া ঋণ উত্তোলন করে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি নিয়ে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপক মো জোবায়নুর রহমান উধাও হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে এ অভিযোগটি তদন্তে রাজশাহী বিভাগীয় একটি তদন্ত টিম বগুড়ায় পৌছেছেন। তারা ব্যাংকের মহাস্থান শাখায় নিয়ে তদন্ত করছেন। তবে এ প্রসঙ্গে কোন কথা বলতে রাজি হননিওই টিমের প্রধান এমএমজি তোফায়েল, সুলতান মাহমুদ, সাহিন মাহমুদ, চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী।
বিষয়টি জানতে মুঠোফোনে রুপালী ব্যাংকের বগুড়া জেলার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) সরদার মো: হাবিবুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, তদন্ত টিম কাজ করছেন, এবিষয়ে এখন কথা বলা যাবে না।
এ ব্যাপারে বগুড়া-০২ (শিবগঞ্জ) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ বলেন, রোববার রুপালী ব্যাংক মহাস্থান শাখার ম্যানেজার জোবায়নুর রহমান ব্যাংকে এসেছিলেন। তিনি ব্যাংক চলাকালিন সময়ে চা খাওয়ার কথা বলে বের হয়ে যান। এরপর আর ফিরে আসেন নি। ওইদিন তিনি ব্যাংকের যাবতীয় চাবি, নথিপত্র, ব্যক্তিগত ব্যাগ রেখে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে বেরিয়ে আসে অন্য তথ্য। ওই ম্যানেজার গ্রাহকদের এফডিআর এর বিপরীতে ভূয়া সই করে পাঁচ কোটি টাকার ঋণ উত্তোলন করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে ওই টাকা নিয়ে তিনি উধাও হয়েছেন।
মহাস্থান মাযার কমিটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: জাহেদুর রহমান জানান, মহাস্থান কমিটির নামে ব্যাংকে রক্ষিত চলতি হিসেব থেকে প্রায় ৮৪ লক্ষ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
এছাড়াও নাসির কটকটি ভান্ডারের নামে রক্ষিত এফডিআর এর বিপরীতে ভুয়া ঋণ বানিয়ে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা, ঠিকাদার জাহিদুর রহমানের প্রায় এক কোটি টাকা, আলহাজ্ব আজমল হোসেনের প্রায় ৫০ লক্ষ টাকাসহ প্রায় ১৫ জনের নামে ভুয়া ঋণ সৃষ্টি করে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি উত্তোলন করেছেন অভিযুক্ত ব্যাংক ম্যানেজার।
রূপালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) সরদার মো: হাবিবুর রহমান জানান, ম্যানেজার মো: জোবায়নুর রহমান নিখোঁজের বিষয়টি রোববার রাতেই বগুড়া সদর থানায় সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে। বগুড়া সদর সার্কেল এডিশনাল এসপি সনাতম চক্রবর্ত্তী জানান, সাধারন ডায়েরীর সূত্র ধরে তদন্ত চলছে। নিখোজ জোবায়নুর রহমান বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার আগুনিয়া তাউড় গ্রামের মন্তেজার রহমানের ছেলে। তিনি স্ব-স্ত্রীক শহরের নামাজগড় এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।