
ডেস্ক রিপোর্ট: অবশেষে করের আওতায় আসছে সার্চ ইঞ্জিন গুগল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ভিডিও আদান-প্রদানের ওয়েবসাইট ইউটিউব।
বাংলাদেশ থেকে অনলাইন বিজ্ঞাপন দিয়ে এসব মাধ্যম প্রচুর অর্থ আয় করলেও সরকার এ থেকে কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না। অথচ দেশীয় গণমাধ্যম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই অবস্থায় গুগল, ফেসবুক, ইউটিউবকে করের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে সংবাদপত্র সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে সংবাদপত্র শিল্প মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো) নেতাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ বিষয়ে কথা হয়।
সভায় নোয়াবের সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, ইউটিউব-ফেসবুকে অবাধ বিজ্ঞাপনের কারণে রাজস্ববঞ্চিত হতে হচ্ছে। ইউরোপসহ উন্নতবিশ্ব এমনকি ভারতেও এদের ওপর কর আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এটা হচ্ছে না।
সংবাদপত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে তিনি বলেন, এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে নিউজপ্রিন্ট আমদানিতে শুল্ক-কর প্রত্যাহার, কর্পোরেট কর হার হ্রাস, বিজ্ঞাপনের ওপর অগ্রিম আয়কর ও ভ্যাট প্রত্যাহার করতে হবে।
জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আগামী বাজেটে এর প্রতিফলন থাকবে। এদেশে ইউটিউব ও ফেসবুকের প্লানেস হচ্ছিল এত দিন। প্লানেসের দিন শেষ হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে এনবিআর বলছে, আগমী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে এদেরকে করের আওতায় আনা হবে।