বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১৮ অক্টোবর) রাতে গণভবনে মুসলিম দেশগুলোর জোট ওআইসিভুক্ত ১৪টি দেশের রাষ্ট্রদূতরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি বাংলাদেশের এই অবস্থানের কথা জানান।
সাক্ষাতে ঢাকায় ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত এস ওয়াই রামাদানও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, জরুরি ভিত্তিতে ফিলিস্তিনিদের জন্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ মানুষের জন্য ওষুধসহ চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, কোন পথে ওষুধ পাঠানো হবে এখনো সেটা ক্লিয়ার না, তবে আমরা পাঠাব।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ফিলিস্তিনের হাসপাতালে যে অ্যাটাক করেছে, সেখানে বহু শিশু এবং নারী মারা গেছে। সে সম্পর্কে তারা (১৪ দেশের রাষ্ট্রদূতরা) তাদের বক্তব্য তুলে ধরছেন। ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে বাংলাদেশের যে সমর্থন আছে, সেই সমর্থন যাতে অব্যাহত থাকে, অন্যান্য যে আন্তর্জাতিক সমর্থনগুলো আছে সেগুলোর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তারা।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই ধরনের সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার। হাসপাতালের উপর যে হামলা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে সচিব বলেন, শিগগির একটি শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। মন্ত্রিসভার মাধ্যমে সেটি জানানো হবে।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন যে, সমস্যার মূল যে কারণগুলো রয়েছে, এগুলো বের করে বিশ্বসম্প্রদায়কে একটা সমাধানের পথ বের করতে হবে। তার জন্য দরকার মুসলিম উম্মাহর ঐক্য। ঐক্য হলে ফিলিস্তিনিদের অধিকার নিশ্চিত হবে।
সচিব বলেন, আমরা সবসময় তাদের পাশে ছিলাম, আমরা তাদের পাশে থাকব। এবারও আমরা ওষুধ এবং জরুরি সামগ্রী পাঠাব। গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওআইসি রাষ্ট্রদূতদের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।