
দশের খবর ডেক্স : ২০১৬ সালের আলোচিত হোলি আর্টিজান হামলার ঘটনায়, নিহতদের পরিবারকে সম্মাননা জানিয়ে ১৫ হাজার ইউরো প্রদান করেছে সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যদিও এই অনুষ্ঠানে হাজির হয়নি অধিকাংশ পরিবারের সদস্যরা। দেশে ও বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ওই হামলায় বাংলাদেশি, জাপানি, ভারতীয় এবং ইতালির নাগরিকরা প্রাণ হারান। পরের দিন সকালে কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় হামলাকারী জঙ্গিরা। প্রায় পৌনে দুই বছর হতে চললেও এই হামলার ঘটনায় তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। এমন প্রেক্ষাপটে রোববার সম্মাননা জানানো হল।
বিবিসি বাংলা জানায়, হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ছিলেন ভারতীয় নাগরিক তারিশি জৈন । হামলার ঘটনার রাতে গুলশানের ওই এলাকায় তারিশির মা-বাবার সাথে ছুটে গিয়েছিলেন তাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ একজন নিরেন সরকার। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনিই তারিশির মৃতদেহ শনাক্ত করেছিলেন।
মিস্টার সরকার বলছিলেন “বাংলাদেশে ব্যবসা থাকার কারণে তারিশির বাবা-মা আগে প্রায়ই আসা-যাওয়া করতেন। হোলি আর্টিজান হামলার পর থেকে তা একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। মেয়ের এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনার শোক তার মা আজ পর্যন্ত কাটিয়ে উঠতে পারেননি। ফলে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরর পক্ষ থেকে হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় নিহতদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে আজ তারিশির পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মি: সরকার একাই।

তিনি তারিশি জৈনের বাবার প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশে কান্ট্রি ডিরেক্টর। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আয়োজিত এই সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রত্যেককে ১৫ হাজার ইউরো অর্থ প্রদান করা হয় । সেইসাথে তাদের সনদ প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের এই উদ্যোগকে মিজ জৈনের পরিবার কিভাবে দেখছে? জানতে চাইলে মি সরকার বলেন, ” তারা এটাকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখছি না, এটাকে দেখছেন সমবেদনা হিসেবে। কারণ এটার তো ক্ষতিপূরণ হয়না”।
বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০১৬ সালে পয়লা জুলাই রাতে আলোড়ন তোলা ওই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার দিন ২০ জন নিহত হন । এছাড়া আরো দুই পুলিশ কর্মকর্তাও প্রাণ হারান। নিহতদের মধ্যে ছিলেন ফারাজ আয়াজ হোসেন। সম্মাননা জানানোর অনুষ্ঠানে কথা বলতে এসে মঞ্চে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তার নানা ব্যবসায়ী লতিফুর রহমান।
সেখানে উপস্থিত ফায়াজ হোসেনের বড় ভাই জারিফ আয়াত হোসেন বলছিলেন, আজকে আমাদের আসলে আরো বেশি আত্মবিশ্বাস দেয়া হল যে বাংলাদেশ আসলে থেমে নেই। বাংলাদেশ ফাইট করছে, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে লড়াই করছে । এটা আমাদের আত্মবিশ্বাস দেয় এবং যেদিন আমি আমার ভাইকে হারিয়েছি সেদিন থেকে বাংলাদেশ অন্যদিকে চলে গেছে। সর্বশক্তি দিয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সেটুকুই আমাদের কনফিডেন্স (আত্মবিশ্বাস) দিচ্ছে।

তবে এ ঘটনায় তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি নিহত ফারাজের ভাই মিস্টার হোসেন। আমি যেহেতু যথেষ্ট ইনফর্মড (অবগত) নই আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করবো না। এই সম্মাননা দেয়া হলো এমন এক সময় যখন হোলি আর্টিজান হামলার ঘটনার আরো একটি বর্ষ পূরণের দিকে এগোচ্ছে।
এই হামলার ঘটনায় অস্ত্রের যোগানদাতা হিসেবে সন্দেহভাজন একজন হাদিসুর রহমান সাগর নামে একজনকে কদিন আগে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বলা হচ্ছে এর ফলে এই ঘটনায় দায়ের মামলার তদন্তে নতুন মোড় নিলো।
সেখানে উপস্থিত ফায়াজ হোসেনের বড় ভাই জারিফ আয়াত হোসেন বলছিলেন, “আজকে আমাদের আসলে আরো বেশি আত্মবিশ্বাস দেয়া হল যে বাংলাদেশ আসলে থেমে নেই। বাংলাদেশ ফাইট করছে, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে লড়াই করছে । এটা আমাদের আত্মবিশ্বাস দেয় এবং যেদিন আমি আমার ভাইকে হারিয়েছি সেদিন থেকে বাংলাদেশ অন্যদিকে চলে গেছে। সর্বশক্তি দিয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সেটুকুই আমাদের কনফিডেন্স (আত্মবিশ্বাস) দিচ্ছে।
তবে এ ঘটনায় তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি নিহত ফারাজের ভাই মিস্টার হোসেন। আমি যেহেতু যথেষ্ট ইনফর্মড (অবগত) নই আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করবো না। এই সম্মাননা দেয়া হলো এমন এক সময় যখন হোলি আর্টিজান হামলার ঘটনার আরো একটি বর্ষ পূরণের দিকে এগোচ্ছে। এই হামলার ঘটনায় অস্ত্রের যোগানদাতা হিসেবে সন্দেহভাজন একজন হাদিসুর রহমান সাগর নামে একজনকে কদিন আগে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বলা হচ্ছে এর ফলে এই ঘটনায় দায়ের মামলার তদন্তে নতুন মোড় নিলো।

মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া কতদূর?
পুলিশের একজন মুখাপাত্র এআইজি সোহেলি ফেরদৌস বলেন, ”তদন্তের শেষ পর্যায়ে পুলিশ। তবে কবে নাগাদ অভিযোগ পত্র আসতে পারে তা এখনো বলতে পারছে না আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। হোলি আর্টিজান মামলার বিষয়ে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। এবং অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি যে দুয়েকজন আছে তাদের বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে গ্রেপ্তারের আওতায় আনা হচ্ছে। সম্প্রতি যাকে জীবিত গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি।
তবে এর আগে বিভিন্ন সময় মূল হোতা বা পরিকল্পনাকারী বা মাস্টার মাইন্ড, কিংবা সর্বশেষ অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে বিভিন্ন জনের গ্রেপ্তারের খবর এসেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ থেকে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে এখনো পর্যন্ত ভয়াবহ ওই হামলার মূল কারণ এবং মূল দোষী কে তা নিয়ে মানুষের মনে নানা রকম প্রশ্ন এবং দ্বিধা রয়ে গেছে।