প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও সেজেছে অপরূপ সাজে

প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও সেজেছে অপরূপ সাজে

ঠাকুরগাঁও: দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঠাকুরগাঁও আগমন উপলক্ষে শহরকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। শহর থেকে গ্রাম- সড়কে সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে অসংখ্য তোরণ। তোরণের উপর শোভা পাচ্ছে কাপড় আর বাঁশের তৈরি নৌকা। প্রধানমন্ত্রী যে সড়কে শহরে ঢুকবেন, সে সড়ক সাজানো হয়েছে রঙ-বেরঙের ব্যানার-ফেস্টুন ও পতাকা দিয়ে।

এছাড়াও শহরের সার্কিট হাউজ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি সেক্টর, সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, সড়ক জনপদ বিভাগ, হাসপাতাল, জেলা পরিষদ মিলনায়তনে করা হয়েছে আলোকসজ্জা।

নৌকার আদলে তৈরি সম্পন্ন হয়েছে বিশাল মঞ্চ। সেই সঙ্গে তৈরি করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী।

পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত শহরের সড়কগুলোর ডিভাইডার ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে করা হয়েছে চুনকাম এবং সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে।

প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও সেজেছে অপরূপ সাজে

দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রধানমন্ত্রী আসছেন বলে জেলাবাসীর প্রত্যাশার অনেক বেশি। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ জানান, তারা জেলাবাসীর দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে লিখিতভাবে ও বক্তৃতার মাধ্যমে দাবি-দাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরবেন।

এখানকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি- প্রধানমন্ত্রী এই সফরে মেডিকেল কলেজ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষিভিত্তিক ইপিজেড স্থাপন, বন্ধ থাকা রেশম কারখানা চালু, পরিত্যক্ত বিমানবন্দর পুনরায় চালু, ঠাকুরগাঁও-ঢাকা সরাসরি আন্তঃনগর ট্রেন চালু, রুহিয়া উপজেলা ঘোষণা, ভুল্লিতে থানা স্থাপন, পীরগঞ্জ-ঠাকুরগাঁও সড়ক প্রশস্তকরণ,বালিয়াডাঙ্গীতে হরিণমারী করিডোরকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর স্থাপন, ঠাকুরগাঁও পর্যন্ত গ্যাস লাইন নির্মাণ, ঠাকুরগাঁওয়ের সাংবাদিকদের জন্য প্রেস কমপ্লেক্স নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্প উপহার দেবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বেলা সাড়ে ১১টায় ঠাকুরগাঁও বিজিবি সেক্টর মাঠে হেলিকপ্টারযোগে অবতরণ করবেন। তিনি বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৩৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৩৩টি উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

এরপর বিকাল ৩টায় তিনি বড়মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। এতে ব্যাপক জনসমাগম ঘটাতে জেলা আওয়ামী লীগ ও দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন প্রচারণা চালাচ্ছে।

 

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল ঘিরে সাজানো হয়ে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থলে গ্রাম থেকে আগত মানুষের গাড়িঘোড়া নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শহরের ভেতরে রিকশা ও অটোচার্জার গাড়ি প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা চলবে প্রধানমন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়া পর্যন্ত।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে ঠাকুরগাঁওয়ে এসেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

শর্টলিংকঃ