ডেক্স রিপোর্ট : রংপুরের কোতয়ালি ও গাজীপুরের শ্রীপুরে একই দিনে বন্দুক যুদ্ধে দুইজন ডাকাত নিহত হয়েছেন।এ সময় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।আমাদের প্রতিনিধির পাঠানা রিপোর্ট।
গাজীপুর : জেলার শ্রীপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আবদুর রউফ হাওলাদার (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, তিনি ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। উপজেলার পটকা ভাঙারহাট এলাকায় বুধবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবদুর রউফের বাড়ি শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার শিবপুর গ্রামে।
পুলিশ জানায়, শ্রীপুর থানার একটি দল ওই এলাকায় সড়ক ধরে নিয়মিত টহল দিচ্ছিল। এ সময় সেখানে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল একটি ডাকাত দল। এ সময় তারা পুলিশের গাড়ি দেখে পুলিশকে লক্ষ্য করে এ্যালোপাথারী গুলি ছোড়ে। পরে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে আবদুর রউফ গুলিবিদ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। গুলির ঘটনায় এসআই শহিদুল ইসলাম মোল্লা, কনস্টেবল মুস্তাফিজ এবং আনসার সদস্য সুভাষ আহত হন। তারা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
নিহত আবদুর রউফের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানাসহ দেশের কয়েকটি থানায় ৮টি ডাকাতি মামলাসহ বিভিন্ন ধারায় ১৭টি মামলা রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
রংপুর : এদিকে রংপুরের কোতয়ালি থানার ওসি বাবুল মিয়া জানান, বুধবার ভোরে একদল ডাকাত নগরীর মুন্সিপাড়া কবরস্থান সংলগ্ন কেরামতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। ডাকাতরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশের ওপর গুলি চালায়। এসময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। এতে দুই ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়।
আহত হয় ৩ পুলিশ সদস্য। পুলিশ সেখান থেকে আরও ৩ ডাকাতকে আটক করা হয়। আহত ডাকাতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে এক ডাকাতকে মৃত্যু ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। অন্য ডাকাতের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। নিহত ডাকাতের মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।