
নো-ম্যান্স ল্যান্ডকে মগরমুল্লুক বানাতে চাই মিয়ানমার কক্সবাজার প্রতিনিধি রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিশ্বের ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাজ্ঞ চালিয়েছে। গত আগস্টের ২৪ তারিখের পর থেকে মিয়ারমারের রাখাইন রাজ্যে জিবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা, ধর্ষন, শিশুদের জবাই করে হত্য ও সম্পদ লুট করে রোহিঙ্গা জাতি নিধনের খেলায় মেতে ছিলো সুচি সরকারের রাষ্ট্রিয় বাহিনী। এক কথায় রোহিঙ্গা অধ্যুসিত রাখাইন রাজ্যে মঘের মুল্লুক কায়েম করেছিলো। মিয়ানমারে ভয়ে পালিয়ে বাংলাদেশ মিয়ানমার সিমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ডে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা আবারো সেই ভয়াল হামলার আশংখায় রয়েছে। তুমব্রু সিমান্তে নো ম্যান্স ল্যান্ডকে মঘের মুল্লুক কায়েম করার সকল দরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে মিয়ানমার। বাংলাদেশ মিয়ানমার সিমান্তের তুমব্রু নো-ম্যানসল্যান্ডে অবস্থান নেয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে মিয়ানমার গত এক সপ্তাহ ধরে সৈন্য মোতায়ন করেছে। জিরো পয়েন্টের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের লাগোয়া পাহাড়ের চুড়ায় চুড়ায় বাংকার বসিয়েছে মিয়ানমার। মিয়ানমার সিমান্তের ভেতরে রাতের বেলা থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। আর মিয়ানমারের সেনারা রোহিঙ্গাদের নো ম্যান্স ল্যান্ড থেকে সরে যেতে কাটা তারের পাশে এসে হুমকি ধমকি দিচ্ছর। গত কয়েকদিন ধরে সিমান্তের কাটাতারের পাশে মাইক লাগিয়ে মাইকিং করে রোহিঙ্গাদের জিরো পয়েন্ট ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে মিয়ানমার সেনারা। এতে আতংকে রয়েছে বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা । মাইকিং করে তুমব্রু সিমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ডকে মিয়ানমারের মংডুর অংশ দাবি করে রোহিঙ্গাদের সরে যেতে বলছে সেই দেশের সেনারা।

অন্যথায় মিয়ানমার আইন প্রয়োগে বাধ্য হবে বলে হুমকি দিচ্ছে। একই সাথে অশ্রাব্য ভাষায় রোহিঙ্গাদের গালি গালাজ ও করা হচ্ছে। সরেজমিনে তুমব্রু সীমান্তের জিরোলাইনে গিয়ে দেখা যায়, জিরো পয়েন্টের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে ৮টি সীমান্ত পোষ্ট তৈরী করেছে মিয়ানমার সেনারা। পাহাড়ের চুড়ায় প্রতিটি ক্যাম্পে বাংকার বসানো হয়েছে। বাংকারের ভেতর থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দিক সার্বক্ষনিক অস্ত্র তাক করে রাখা হয়েছে। এই ৮টি পোস্টে দুই শতাধিক সেনার টহল দিতে দেখা গেছে। তৃমব্রু নো ম্যান্স ল্যান্ডের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি মো. ইউসূফ জানায়, গত এক সপ্তাহ ধরে আতংকে দিন কাটাচ্ছে জিরো পয়েন্টের রোহিঙ্গারা। মিয়ানামরের নির্যাতন থেকে এসেও আমরা শান্তিতে নেই। ইউসুফ জানায়, নো ম্যান্স ল্যান্ড থেকে সরে যেতে মাইকে ঘোষণা দিচ্ছে সেনাবাহিনী। সরে নাগেলে আইন প্রয়োগ করার ঘোষনা দেয় মিয়ানমার সেনারা। আবারও মিয়ানমার সেনাদের এসব কর্মকান্ডে ভীত নো ম্যান্স ল্যান্ডের রোহিয়্গারা। নো ম্যান্স ল্যান্ডের আশ্রয় নেয়া মো. নুরুল আলম জানিয়েছে, তুমব্রু সিমান্তের খুবকাছে মংডুর ঢেকিবনিয়া থানার পানিরছড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। গত এক সপ্তাহ ধরে মি্রডানমারের মাইকিংএর কারনে একন রাত জেগে নিজের সন্তানদের পাহারা দিচ্ছে। প্রতিদিন রাতে তাদের ঘরের উপর মিয়ানমার সেনারা মদ পান করে সেই বোতলটি নিক্ষেপ করে। প্রতি রাতেই গালাগালি করতে এই জায়গা ছেড় দিতে হুমকি দিচ্ছর মিয়ানমারের সেনারা। দিল মোহাম্মদ নামে এক শরণার্থী জানান, আমরা মিয়ানমার সরকারের সাথে সেদেশের উন্নয়ন কাজ করেছি। কিন্তু এখন আমরাও শরণার্থী। মিয়ানমার সেনারা পলাতক বাঙ্গালী হিসেবে আখ্যায়ত করে আসছে। তারা আমাদের গোপনে ঢেকি বনিয়ায় বৈঠক করার কথাও জানিয়েছিল। কিন্তু আমরা বাংলাদেশের মতামত নিয়ে তাদের জানাবো বলেছি। একথায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা জিরোলাইন থেকে আমাদের সরে যেতে বলছে। অন্যথায় মিয়ানমার সরকারের আইন অনুযায়ী আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানাচ্ছে তারা। কক্সবাজার ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম জানান, নো ম্যান্স ল্যান্ডের রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি। তাই ঐ রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারে কনো সমস্যা হওয়ার কথা না। তিনি আসা করেন পূর্ন নিরাপত্তা দিয়ে নো ম্যান্স ল্যান্ডের রোহিঙ্গাদের সবার আগে ফেরত নিবে মিয়ানমার।