দেয়াল থেকে বের হলো বিশাল অজগর

বাড়ির দেয়াল থেকে বের হলো বিশাল অজগর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এক বাসায় লুকিয়ে থাকা বিশাল অজগর সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সোমাচি সুবডান নামের ৪৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির বাড়ির ভেতর থেকে সম্প্রতি ১৫ দীর্ঘ অজগরটি উদ্ধার করা হয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানায়, এক দুপুরে সোমাচি নিজের বসার ঘরে টিভি দেখছিলেন। হঠাৎ ঘরের দেয়ালে অদ্ভুত শব্দ শুনে তিনি কাছে এগিয়ে যান। শব্দের উৎস খুঁজে দেয়ালে কান পেতে তিনি যা শুনতে পান তাতে আত্মারাম তো খাঁচা ছাড়া হওয়ার জোগাড়!

সরীসৃপের গা ঘষে এগিয়ে যাওয়ার শব্দের পাশাপাশি হিস হিস আওয়াজ শুনে বিষয়টি যে জটিল তা বুঝতে আর তার বাকি থাকে না। চমকে দেয়ালের কাছ থেকে সরে আসেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন সাপ ধরার কর্মীদের।

ডেইলি মেইলকে তিনি বলেন, শব্দের উৎসের কারণ যে সাপ তা বুঝতে একটুও কষ্ট হয়নি। কিন্তু সাপটি বাড়ির ভেতরে কিভাবে এসেছে সেই প্রশ্নের চাইতে অন্য আশঙ্কা আমাকে অবশ করে দেয়। প্রথমেই মাথায় আসে, যদি আমার ঘুমের সময় সাপটি ছাদে গিয়ে হঠাৎ নিচে আমার উপরে পড়ে যায়?

সেই আশঙ্কা অমূলক হোক বা নাই হোক, প্রশিক্ষিত কর্মীরা যখন সাপটিকে বের করে তখন চমকে উঠেন উপস্থিত সবাই। দেয়াল ভাঙ্গতেই দেখা যায় বিশাল আকারের অজগর কুণ্ডলী পাকিয়ে রয়েছে। তবে সেখান থেকে সাপটিকে বের করার পর সেটির আকার দেখে আশ্চর্য হওয়াই স্বাভাবিক। দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৫ ফুট হবে সেটি!

অবশ্য সাপটিকে বের করতে গিয়ে সোমাচির ঘরের দেয়ালের দফা-রফা হয়ে যায়। তাতেও অবশ্য তার কোনো আক্ষেপ নেই। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘দেয়াল ভাঙ্গার পর তা ঠিক করতে হবে ভেবে মন কিছুটা খারাপ হলেও আমি খুশি। কেননা, আর যাই হোক সাপের ভয়ে তো বাস করতে হবে না!’

সাপটিকে ধরার পর সেটিকে বনের প্রকৃতির মাঝে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। তবে মার্চের মাঝামাঝি সময়ের ওই ঘটনা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

থাইল্যান্ডে সাপের এমন শঙ্কা অবশ্য নতুন নয়। দেশটিতে প্রায়ই আবাসিক ভবনের পাইপ, ড্রেন কিংবা অব্যবহৃত স্থানে সাপকে হানা দিতে দেখা যায়। গাছ এবং ঝোপঝাড়ে তো কথাই নেই!

শহরের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের হিসেবে শুধু ২০১৭ সালেই ৩১ হাজারেরো বেশি বাড়ি থেকে সাপ উদ্ধারের অনুরোধ করে ফোন এসেছে। যদিও অধিকাংশ সাপ মূলত আশ্রয়ের জন্যই আবাসিক এলাকায় হানা দেয়। মানুষের ক্ষতি করার কোনো উদ্দেশ্য তাদের থাকে না বলেই থাই কর্তৃপক্ষের দাবি।

শর্টলিংকঃ