ঢাকার পথে খালেদা

ডেক্স রিপোর্ট : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) এবং শাহপরান (রহ.) মাজার জিয়ারত করেছেন । তিনি আগামী ফেব্রুয়ারী জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়কে সামনে রেখে সোমবার সন্ধ্যায় এই দুই মাজার জিয়ারত করলেন। দু’টি মাজারে কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া মোনাজাত করেন খালেদা জিয়া। এসময় দরগাহ দু’টি ঘিরে ছিল হাজার হাজার নেতাকর্মী।

এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঢাকা থেকে সকাল সোয়া ৯টায় সড়কপথে গাড়িবহর নিয়ে রওনা দিয়ে বিকেল সাড়ে ৪টায় সিলেটে পৌঁছান । সিলেট সার্কিট হাউসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে সন্ধ্যায় প্রথমে হজরত শাহজালাল (রহ.) এবং পরে হজরত শাহপরান (র.) এর মাজার জিয়ারত করেন তিনি।

দলের প্রধান খালেদা জিয়ার মাজার জিয়ারত উপলক্ষে সিলেটের মাজারমুখী সড়কগুলো ছিল বিপুল সংখ্যক মানুষে ঠাসা। স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল ছিল গোটা এলাকা।

 

এদিকে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর সিলেট যাত্রাপথে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে বিভিন্ন স্থানে জড়ো হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের বাধা, গ্রেফতার, পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, লাঠিচার্জ ও জুতা প্রদর্শনের ঘটনা ঘটে। যাওয়ার সময় দীর্ঘ সড়কে বিপুল সংখ্যক পুলিশ বেগম জিয়াকে নিরাপত্তা দেন।

খালেদা জিয়াকে সড়কে অভ্যর্থনা জানাতে আসা বিএনপির আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়রপদে নির্বাচন করা বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন, নরসিংদী বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান উদ্দিন মোল্লা, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজারুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাহার উদ্দিনসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আটক করে পুলিশ। এর মধ্যে সানাউল্লাহ মিয়াকে পুলিশ শিবপুর থেকে আটক করে গাড়িতে কিছুক্ষণ ঘুরিয়ে পরে ছেড়ে দেয়।এছাড়া সিলেট থেকে ৩৫ জন এবং মৌলভীবাজার থেকে তিন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।

খালেদা জিয়ার যাত্রাপথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যাত্রাবাড়ী থেকে নরসিংদী পর্যন্ত রাস্তার কাউকে দাঁড়াতে দেয়নি। দোকানপাটও খুলতে দেয়নি। নরসিংদীতে বাধার মুখে পড়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর। সেখানে ‘নৌকা’ স্লোগান দিয়ে জুতা প্রদর্শন করে শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বীরুর সমর্থকরা।

নরসিংদীর বেলানগর বাজারের নরসিংদী জেলা কারাগারের সামনে বেলা ১১ টা ২০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। হঠাৎ কিছু লোক সেখানে নৌকার স্লোগান দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে জুতা প্রদর্শন করে। এ সময় তারা বিক্ষোভ মিছিল করে গাড়িবহরে বাধা দেয়। পরে পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দিলে গাড়িবহর সামনে অগ্রসর হয়।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কামারখোলা এলাকায় দুপুরের দিকে পার্টির চেয়ারপারসনকে স্বাগত জানাতে আসা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জের কারণে মূল সড়কের পাঁশে দাঁড়াতে পারেনি কেউ।

তবে গাউছিয়ায় রাস্তার এক পাশে, বেলাবোসহ বেশ কয়েকটি স্থানে নেতাকর্মী ব্যানার নিয়ে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানান। ভৈরব এলাকায় পর থেকে নেতাকর্মীরা রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানান। খালেদা জিয়া বিভিন্ন স্থানে গাড়ি থামিয়ে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলেন।

শর্টলিংকঃ