স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী প্রবিতাদের ঝড় উঠেছে।গত শনিবার সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) মুক্তমঞ্চে এক অনুষ্ঠানে ড. জাফর ইকবাল ছুরিকাঘাতের শিকার হন। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক ফয়জুল ইসলাম নামের এক যুবককে শিক্ষার্থীরা আটক করে গণপিটুনির দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পুলিশ এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ফয়জুল ইসলামকে গ্রেফতার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে।
ছুরিকাঘাতে আহত অধ্যাপক জাফর ইকবালকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এনে ভর্তি করানো হয়। এরপর থেকে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার দুপুরের দিকে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)যান। এর আগে রোববার সিএমএইচ কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, ড. জাফর ইকবাল মানসিকভাবে সুস্থ রয়েছেন। তবে পুরোপুরি সেরে উঠতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
অপরদিকে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ইতোমধ্যে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই পুলিশ কনস্টেবলকে রোববার রাতে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনার রাতেই হামলাকারী ফয়জুল ইসলামের মামাকে পুলিশ আটক করে। এরপর রোববার সিলেটের জালালাবাদ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। রাতে ফয়জুলের বাবা হাফেজ আতিকুর রহমান ওরফে কুরশ এবং মা মিনারা বেগমকে আটক করে পুলিশ।