ঠাকুরগাও সদর উপজেলার কদম রসুল হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রী গণধর্ষনের শিকার হয়েছে ।এ ঘটনায় পুলিশ ২ ধর্ষকের পিতা সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,ঠাকুরগাও সদর উপজেলার আরাজি কেশুরবাড়ি গ্রামের এক দিনমজুরের কন্যা কদম রসুল হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়াশোনা করে।
বৃহস্পতিবার সে ভুল্লি বাজারে গেলে তারই ফুফাত বোনের স্বামী দুলাভাই আনছারুল হক(২৮) তাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়।রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে দুলাভাই আনছারুল তার শ্যালিকাকে বাড়িতে পৌছে দেওয়ার জন্য রওনা হন।এরিমধ্যে দুলাভাই আনছারুল মোবাইলে আব্দুল লতিফ ও রমজান আলী নামে তার ২ বন্ধুকে ডেকে নিয়ে শ্যালিকাকে বাড়ি পৌছে দিতে রওনা হয়।পথিমধ্যে সিনাকুড়া পুকুরের পাশে পৌছলে দুলাভাই আনছারুল ও তার সহযাত্রীররা ওই স্কুল ছাত্রীকে পাশের বাশঝাড়ে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষন করে। এদিকে বাড়ি না ফেরায় তার পিতামাতা মেয়েকে খুজতে বের হয়।ঘটনাস্থলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তারা চিতকার শুনে কাছে যেতেই ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় পরদিন মেয়ের বাবা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ঠাকুরগাও সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।ভিক্টিমের ডাক্তারি পরীক্ষা ঠাকুরগাও আধুনিক সদর হাসপাতালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ধর্ষক আনছারুল হকের পিতা আব্দুল আজিজ,ধর্ষক লতিফের পিতা বাবলু হক,এবং গ্রাম্য দেওনিয়া কুদ্দুস কে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ঠাকুরগাও সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, এ ঘটনায় মূল আসামী আনছারুল ঘটনার পর সে আত্বগোপন করায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।তবে তার পিতা সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।আশা করছি,খুব শীঘ্রই মূল আসামীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।