
ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় আজ শনিবারও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে আজ কালবৈশাখী বয়ে যেতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় নৌবন্দরে জারি করা হয়েছে ২ নম্বর সতর্কতা।
সকাল ৮টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দমকা বাতাস অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি কিংবা বজ্র বৃষ্টি হতে পারে। কালবৈশাখীর প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আরো দুই একদিন থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক।
শনিবার সকালে তিনি বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দমকা বাতাস অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি কিংবা বজ্র বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া নৌবন্দরগুলোয় দুই নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’
শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৩১ মিলিমিটার। একই সময়ে ঢাকায় ১, দিনাজপুরে ২৯, সৈয়দপুরে ২৫, ময়মনসিংহে ১০, সিলেটে ২৩, রংপুরে ১৩, রাজশাহীতে ২৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঢাকা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেটের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তরপশ্চিম দিকে ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে আজ বেলা ১টা পর্যন্ত ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মধ্য চৈত্রের এই সময়ে আকাশ থেকে গর্জে উঠছে কালো মেঘ। কালবৈশাখী ছোবল দিয়েছে রাজধানীসহ দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে। বজ্রাঘাত, শিলা ও বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮ জন। এর মধ্যে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে শিলার আঘাতে সৈয়দ আলী (৫৫) ও মাগুরা সদর উপজেলায় আকরাম হোসেন (৩৫) নামে দুই কৃষক, পাবনার ঈশ্বরদীতে জমেলা খাতুন (৫৫), সিলেটের ওসমানীনগরে সাবিয়া বেগম (৩০) এবং হাসান আহমদ নামে দেড় বছরের এক শিশু এবং যশোরের অভয়নগরে লাইজু খাতুন (১৯) নামে এক কলেজছাত্রী মারা গেছেন। এ ছাড়া রংপুরের তারাগঞ্জে নয়া মিয়া (২৫) ও বদরগঞ্জে শামীম মিয়া বজ্রপাতে মারা যান।
কোনো কোনো স্থানে শিলাবৃষ্টি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, অনেক ঘরের চাল ফুটো হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, এত বড় শিলা তারা কখনও দেখেননি। বিভিন্ন স্থানে আহত হয়েছেন আরও শতাধিক মানুষ।