জেনে নিন মানসিক চাপ দেহের জন্য কতটা ক্ষতিকর?

লাইফস্টাইল ডেস্ক: প্রতিটা মানুষই কাজের মধ্যে মানসিক চাপ অনুভব করে। ছোট থেকে বড় সব বয়সের মানুষের মধ্যে এই প্রবণতা দেখা যায়। শুধু যে বড়রাই মানসিক চাপ অনুভব করে তা ঠিক নয়। বিশেষ করে বাবা-মার অবহেলা থেকে শিশুরা মানসিক চাপ ভোগ করে। ছোটদের পড়াশুনার ক্ষেত্রে এটি অনুভব করা যায়। আর বড়দের ক্ষেত্রে চাকরি-বাকরি, পারিবারিক সমস্যা ঝগরা বিবাদ থেকে বিভিন্ন মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়।

ব্রিটিশ মনোবিজ্ঞানী অ্যাডাম বোরল্যান্ড বলেন, সীমিত মানসিক চাপ আমাদের প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে সহায়তা করে।

অন্যদিকে মানসিক চাপ মানুষের মধ্যে অনেক দীর্ঘমেয়াদী সমস্যারও জন্ম দেয়।

যেমনঃ

১. ঘুমের সমস্যা

২. শরীরের ওজন কমে যাওয়া

৩. বমি বমি ভাব হওয়া

৪. খিটখিটে মেজাজ বা বিরক্তিকর ভাব

৫. নেশাগ্রস্ত হওয়া

৬. খাবারের প্রতি অনিহা

এছাড়াও দীর্ঘদিন মানসিক চাপ অনুভবের কারণে মানুষের অজান্তে জন্ম নিতে পারে ভয়ানক এক সমস্যা। উদ্বেগের মুহূর্তে দেহের সহানুভূতিশীল নার্ভাস সিস্টেম স্বক্রিয় হয়ে ওঠে। যার ফলে মানুষ শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পরে।

এরকম পরিস্থিতিতে দেহে বিভিন্ন পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় যেমন :

১. মাথা গোরা

২. মাথা ব্যাথা

৩. বমি বমি ভাব

৪. পেশিতে টান অনুভব করা

এ পরিবর্তনগুলোর মূল কারণ কর্টিসোল (Cortisol)।

কর্টিসোল একপ্রকার হরমোন যা দেহের গ্লোকোজ নিঃসরণ ঘটায়। এই গ্লোকোজ পেশিতে শক্তি সরবরাহ করে এবং শারীরিকভাবে আঘাত করতে প্ররোচিত করে। কর্টিসোল উৎপাদন অব্যাহত রাখে এবং তা বিভিন্ন শারীরিক ব্যাধি, যেমন- ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও দীর্ঘমেয়াদী পরিপাক সংক্রান্ত রোগের জন্ম দেয়।

মানসিক চাপ এড়ানোর উপায়ঃ

১. স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ

২. পরিবার ও প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানো

৩. খেলাধুলা ও বিনোদনমূলক কাজকর্ম করা

৪. ভ্রমণ করা

৫. গান শুনা বা টিভি দেখা

৬. নিয়মিত ব্যায়াম

৭. মেডিটেশন বা ধ্যান

৮. চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ

মানসিক চাপ জীবনেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই যেকোনো উদ্বেগপূর্ণ পরিস্থিতিতে নিজেকে উৎফুল্ল রাখার চেষ্টা করুন। সুস্থ থাকুন।

শর্টলিংকঃ