ডেস্ক রিপোর্ট : চাকরিতে ঢোকার বয়স ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনরত প্রার্থীদের বেশ কয়েকজনকে আটক করেছ পুলিশ। আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁদের অন্তত ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, চাকরিতে ঢোকার বয়স ৩৫ করার দাবিতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের ব্যানারে একদল আন্দোলনকারী সকাল সাড়ে দশটা থেকে শাহবাগ জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিতে শুরু করে। বেলা ১১টার দিকে দুই শতাধিক আন্দোলনকারী সেখানে অবস্থান নেন। প্রায় এক ঘণ্টা তাঁরা সেখানে থেকে ওই দাবিতে স্লোগান দেন। একপর্যায়ে তাঁরা সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে স্মারকলিপি জমা দিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে রওয়ানা হয়। বাংলামোটর মোড়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে মিছিলটি। তাঁরা বাধা উপেক্ষা করতে গেলে পুলিশ তাতে লাঠিপেটা করে। এ সময় পুলিশের পিটুনি ঠেকাতে নারী আন্দোলনকারীরা সামনে এলে পুলিশ তাঁদেরও পিটুনি দেয়। এ সময় পুলিশ কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায়।
কয়েকজন আন্দোলনকারী বলেন, তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ হামলা চালিয়ে অন্তত ২৫ জনকে ধরে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে শাহবাগ থানার পুলিশ বলেছে, এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
আন্দোলনকারীরা জানান, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ স্পিকার থাকার সময় জাতীয় সংসদে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তবে ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও, এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেননি প্রধানমন্ত্রী।
আন্দোলনের মুখপাত্র ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে মাধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। যেখানে সব মধ্যম আয়ের দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫, সেখানে বাংলাদেশের মানুষ কেন এ সুযোগ পাবেন না? দেশের লাখ লাখ তরুণ-তরুণী বয়সের দেয়ালে আবদ্ধ হয়ে হতাশায় ভুগছেন।’
চাকরি প্রত্যাশীদের অভিযোগ, পড়াশোনা পদ্ধতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজগুলোয় সেশনজটের কারণে ছাত্রজীবনের একটা বড় সময় নষ্ট হয়ে যায়। স্নাতক পাশ করতে করতে বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়া হয়ে উঠে না অনেকের। আবার প্রস্তুতি নিতে নিতেই সময় শেষ হয়ে যায়। এ কারণে সরকারি চাকরিতে ঢোকার বয়স ৩৫ করার দাবি জানিয়ে আসছে তারা।