গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কে বাস চলাচল স্বাভাবিক

জাভেদ হোসেন :  গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী ২০কিঃ মিঃ লিং রোডে সিএনজি চলাকে কেন্দ্র করে বাস শ্রমিক আঃ সালামের উপর হামলার ঘটনায় গাইবান্ধা থেকে সকল ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। আজ সন্ধ্যার পর হটাৎ বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা। এর জন্য গাইবান্ধা ও পলাশবাড়ীর পরিবহন নেতারা পরস্পরকে দোষারোপ করছেন।

গাইবান্ধা জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আশরাফুল ইসলাম বাদশা  বলেন, গত শনিবার গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী রোডে সিএনজি না চালাতে সিএনজি মালিক ও শ্রমিককে অনুরোধ করা হয়। শুধু মাত্র গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী ছাড়া অন্যন্য রুট এ  তাদেরকে সিএনজি চালাতে বাঁধা দেয়া হবেনা বলেও জানিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু তারা মটর শ্রমিক নেতাদের এমন অনুরোধ না মেনে বগুড়া থেকে গাইবান্ধা গামী  বাস থেকে সুপার ভাইজার সালামকে পলাশবাড়ী নামিয়ে তার উপর হামলা চালায়।

তিনি  আরও বলেন, সালামের উপর হামলার ঘটনা মিমাংসার জন্য পলাশবাড়ী সিএনজি শ্রমিকদের আজ ডেকে ব্যাপারটি মিটিয়ে দেয়া হয়। তথাপি সিএনজি শ্রমিকরা পলাশবাড়ী গিয়ে আবারও বাস শ্রমিকের উপর হামলা চালিয়ে ৬জন শ্রমিক কে আহত করে। এর প্রতিবাদে সন্ধ্যার পর গাইবান্ধ থেকে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা।

এদিকে, গাইবান্ধা সদর থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী গাইবান্ধার বাসগুলোকে পলাশবাড়ীতে বাধা দেয় পলাশবাড়ী সিএনজি শ্রমিকরা। এ কারণে সোমবার রাত থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের দূরপাল্লার সকল বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। গাইবান্ধা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য শ্যামলি পরিবহনের ম্যানেজার পিযুষ কান্তি বর্মন  বলেন, পলাশবাড়ী সিএনজি শ্রমিকদের হটকারিতার কারণে বার বার এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এর একটি স্থায়ী সমাধান হওয়া উচিৎ। এখবর লেখা পর্যন্ত গাইবান্ধা মটর শ্রমিক ইউনিয়নে স্থানীয় প্রশাসন ও শমিক নেতাদের আলোচনা চলছিলো।

সদর থানার ওসি খান মো. শাহারিয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরে উভয় পক্ষের শ্রমিক নেতারা এক বৈঠকের মাধ্যমে দ্বন্দ্ব নিস্পত্তি করে নিয়েছেন । বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

 

শর্টলিংকঃ