গাইবান্ধা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসকে ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে দালাল চক্র। পাসপোর্ট কার্যালয়ে দালালদের খপ্পরে পড়ে অতিরিক্ত অর্থ গুণতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশ ছাড়া এমন অপকর্ম সম্ভব নয় বলে মনে করেন সচেতন মহল। আর কর্মকর্তা বলছেন, দালালদের চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে না।
হানিফ, সাজেদুল, সাইফুল ও মেহেদী হাসান। গাইবান্ধার দূর্গম চরাঞ্চল হরিচন্ডির এই মানুষগুলো এসেছিলেন পাসপোর্ট করতে। তাদের অভিযোগ, শুভ নামে এক দালাল পাসপোর্টের জন্য সরকারি খরচের বাইরেও তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় অতিরিক্ত তিন হাজার করে টাকা।তারা বলেন, টাকা জমা দিয়েছি, সকল কাগজও জমা দিয়েছি। কিন্তু মেশিন খারাপসহ নানা কথা বলে হয়রানি করা হচ্ছে আমাদের।
যোগাযোগের চেষ্টা করে অভিযুক্ত শুভকে পাওয়া যায়নি। শুভ’র মতো দালাল ও অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হয়রানির পাশাপাশি পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে টাকা নেয়ার অভিযোগও অনেক। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা না থাকায় এমন পরিস্থিতি বলে মনে করে সচেতন নাগরিক কমিটি।
গাইবান্ধার সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি জহুরুল কাইয়্যুম বলেন, এই হয়রানি বন্ধ করতে হলে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
পাসপোর্ট অফিসের ভেতরে ও বাইরে ফরম পূরণ করে দেয়ার নামে দালালদের চিত্র গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়লেও গাইবান্ধা আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, তাদের চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
গাইবান্ধা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে গড়ে প্রতি মাসে প্রায় ৮০০ মানুষ পাসপোর্ট করে থাকেন।