জাভেদ হোসেন : গাইবান্ধা সদর উপজেলায় দুই শিশুসহ আটজন বাসযাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় আজ বুধবার প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রাশেদা সুলতানা এ সাক্ষ্য গ্রহণ করবেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সীচা পাঁচপীর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী নাপু এন্টারপ্রাইজের একটি যাত্রীবাহী নৈশ্যকোচ রাত পৌনে ১১ টার দিকে সদরের তুলসীঘাটের বুড়িঘরে পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা পেট্রোল বোমা হামলা চালায়। এ ঘটনায় দুই শিশুসহ আটজন মারা যান। এ ছাড়াও ৩২ জন গুরুতর আহত হন। সে সময় জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনায় সদর থানার তৎকালিন এস আই মাহাবুব আলম বাদি হয়ে পরের দিন ৭ ফেব্রুয়ারী থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়। এছাড়াও অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ২৮-৩০জনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৫ মার্চ ৭৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এদের মধ্যে ৬৬ জন জামিনে মুক্ত আছেন, ১ জন মারা গেছেন ও ১০ জন পলাতক আছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি (পিপি) শফিকুল ইসলাম “দশের খবর”কে জানান, এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারী এই মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য্য ছিল। কিন্তু স্বাক্ষী না আসায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৭ মার্চ দিন ধার্য্য করেন আদালত। সেই অনুযায়ী আজ প্রথম দিন এই মামলার বাদির সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।