স্টাফ রিপোর্টার : গাইবান্ধা সদর উপজেলার ভাজলের খামার গ্রামের মোস্তাফির বিল্লাহর ওরফে ডিউক নামে এক যুবকের হার্ড এ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে। তিনি দুই শিশুসহ আট বাস যাত্রীকে পেট্রোল বোমা মোরে পুড়িয়ে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। বুধবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তার মৃত্যুর সনদ জমা হলে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীর জন্য মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি (পিপি) শফিকুল ইসলাম জানান, আজ বুধবার ওই মামলার সাক্ষীর জন্য দিন ধার্যছিল। সেই অনুযায়ী আদালতে সাক্ষীর হাজিরা দেওয়া হয়। কিন্তু আসামি ডিউবের মৃত্যুর ঘটনায় সাক্ষীর জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত। একই সঙ্গে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী রাত ১১ টার দিকে সুন্দরগঞ্জ ছেড়ে আসা ঢাকাগামী নাপু এন্টারপ্রাইজের একটি যাত্রীবাহী নৈশ্যকোচ সদরের তুলসীঘাট এলাকায় পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা পেট্রোল বোমা হামলা চালায়। এ ঘটনায় দুই শিশুসহ আটজন মারা যান। এই মামলায় দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৭৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এদের মধ্যে ডিউকসহ ৬৬ জন জামিনে মুক্ত ও ১০ জন পলাতক আছেন। এর আগে আরও একজন আসামি বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছেন।