গাইবান্ধার সাত উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ৭ শ ২৭ জন শিক্ষকের পদশুন্য থাকায় বাধ্যতামুলক প্রাথমিক শিক্ষা মারাতœক ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘ দিনের এ সঙ্কট কেটে না ওঠায় অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গাইবান্ধা জেলা সদরসহ সাতটি উপজেলার ১ হাজার ৪ শ ৩৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণি থেকে-পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে।বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষকের অনুমোদিত পদ সংখ্যা ১ হাজার ৩৮৩ জনের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ৯ শ ৬০ জন। অবশিষ্ট ৪ শ ২৩ জন প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য। এর মধ্যে গাইবান্ধা জেলা সদরে ৬৪জন, পলাশবাড়ীতে ৭৮ জন, সাদুল্যাপুরে ৫২জন, গোবিন্দগঞ্জে ৮৩ জন, সাঘাটায় ৪৯ জন, ফুলছড়িতে ৪০ জন ও সুন্দরগঞ্জে ৫৭ জন।এসব বিদ্যালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে দাফতরিক কাজের জন্য প্রধান শিক্ষকের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষক সঙ্কট থাকা সত্বেও জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে প্রশাসনিক দ্বায়িত্ব দেওয়ায় মারাতœক ভাবে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
অপরদিকে, জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনুমোদিত ৬ হাজার ৭৪০ জন সহকারি শিক্ষকের স্থলে কর্মরত আছেন ৬ হাজার ৪৩৬ জন। সেই হিসেবে ৩০৪ জন সহকারি শিক্ষকের পদ শুন্য রয়েছে। এর মধ্যে গোবিন্দগঞ্জে ৪৯ জন, পলাশবাড়ীতে ৮৩ জন,সাদুল্যাপুরে ২০জন, সাঘাটায় ৩৮ জন, ফুলছড়িতে ৮০ জন, সুন্দরগঞ্জে ৩৬জন ও সদরে ৪৮ জন।
গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম বাংলাদেশের খবরকে শিক্ষক সঙ্কটের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী শর্ত পূরণে সক্ষম শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য একটি তালিকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে পাঠানো হয়ে ছিল। কিন্তু নীতিমালা পরিবর্তনের ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন না হওয়ায় এ অবস্থা দেখা দেয়।