গাইবান্ধায় চার পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা, সরকার দলীয় সংসদ সদস্যকে গুলি করে হত্যার পাশাপাশি একাধিক নাশকতার ঘটনা ঘটেছে।
চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই এমনকি কথিত জ্বীনের বাদশার নামে প্রতারণার গল্পও সবার জানা। আর তাই এই জেলাকে অপরাধমুক্ত করতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন।
গাইবান্ধা শহরের প্রতিটি প্রবেশমুখে লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। শহরে ঢোকা থেকে বের হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেকের গতিবিধি বন্দি করা হয় এসব ক্যামেরায়। ফলে সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি অপরাধীদের ধরতে বেগ পেতে হচ্ছে না।
গাইবান্ধা পুলিশ কন্ট্রোলরুম থেকে সার্বক্ষণিক এসব ক্যামেরায় নজরদারি করেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। সিসি ক্যামেরার কল্যাণে ইতোমধ্যে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে জানালেন গাইবান্ধা গোয়েন্দা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মেহেদী হাসান। গুরুত্বপূর্ণ সব স্থাপনা প্রযুক্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবি সংশ্লিষ্টদের।
একেএম মেহেদী হাসান বলেন, ‘বেশ কিছু অপরাধ সনাক্ত করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। যারা বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত আছে তাদের কাছে এই বার্তাটা যাওয়ার পরে বিশেষকরে পৌরসভা এলাকায় অপরাধের মাত্রাটা কমে এসেছে।’ গাইবান্ধার অ্যাডভান্স কম্পিউটারস’র সত্ত্বাধিকারী রেজাউল করিম জেমস্ বলেন, ‘শুধু পৌরসভা নয়, হাইওয়ে বা থানাগুলোকেও যদি এইরকম আইপি নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা যায় তাহলে আরও ভালো হবে।’ অবশ্য আর্থিক সঙ্কটের কারণে এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে বলে জানালেন পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ।
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য উপজেলাগুলোতেও পর্যায়ক্রমে আইপি নেটওয়ার্ক স্থাপন করবো। তবে আমাদের আসলে বাজেট নাই। আমরা শুধু জেলা পরিষদের সাহায্য নিয়ে করছি। অন্যান্য দানশীল ব্যক্তিরাও যদি করে দিতে চায় তাহলে আমরা মনিটরিংয়ের আওতায় নিয়ে আসতে পারবো। হাইওয়েগুলোতেও আইপি ক্যামেরা স্থাপন করা যায় কিনা সে ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা চলছে।’