স্টাফ রিপোর্টার : চোরে চোরে মাসতুতো ভাই এ প্রবাদ মিথ্যা প্রমাণ করলো একদল চোর। গরু চুরির টাকার ভাগ নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে একই দলের এক চোরকে কুপিয়ে পরে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে চোরেরদল।
এ ঘটনায় পুলিশের হাতে আটক সংঘবদ্ধ চোরের দলের চারজনের মধ্যে দুইজন আদালতে এ স্বীকারোক্তি দিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতের বিচারক পার্থভদ্র শনিবার দিবাগত রাতে তাদের জবানবন্দি গ্রহণ শেষে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নিহত গরুচোরের নাম সেকেন্দার আলী (৪২)। তিনি বগুড়ার গাবতলী থানার রামেশ্বরপুর গ্রামের তেজোপাড়ার মৃত রমজান আলীর ছেলে।
আটক চারচোর হলেন-একই জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার হোসেনপুর তায়েবপাড়া গ্রামের মৃত জামাতুল্যার ছেলে আব্দুল মালেক (৪২), চল্লিশছত্র ঘুগার গ্রামের মৃত হাছেন আলীর ছেলে রুবেল (৩৮), গাবতলীর জয়গনি ঠাকুরচর গ্রামের মৃত শুকরার ছেলে বাবলু (৫৭) ও হোসেনপুর গ্রামের আব্দুল সাত্তারের ছেলে খোরশেদ আলম (৪৮)।
গোবিন্দগঞ্জ থানার এসআই শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত শুক্রবার ভোররাতে বগুড়া সদর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে আব্দুল মালেক ও রুবেল আদালতে এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
অপন দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। থানার ওসি মজিবুর রহমান জানান,এদের মধ্যে খোরশেদ আলম স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য। অবশিষ্ট ৩ জন বিভিন্ন এলাকার কৃষকের গোয়ালঘর থেকে গরু চুরি করে এনে খোরশেদ মেম্বারের কাছে পৌঁছে দিন। পরে তিনি বাজারে বিক্রি করে সমহারে ভাগ টাকা বন্টন করতেন।
এরই এক পর্যায়ে একটি গরু চুরির টাকা সেকেন্দারকে কম দিলে এ নিয়ে তার সঙ্গে অপর তিনজনের দ্বন্দ্ব হয়। এরই জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে গত বছরের ২৬ জানুয়ারী রাতে সেকেন্দারকে গরু চুরি করার কথা বলে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটা-রাজাবিরাট সড়কের ডান পাশে আখ ক্ষেতে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে।