লাইফস্টাইল ডেস্ক: অফিস থেকে ঘেমে বাড়ি ফিরেই কি ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে আপনার? সাবধান, এর ফলে আপনার দেহে কী কী ক্ষতি হতে পারে জানেন?
বিশেষজ্ঞদের দাবি, অতি মাত্রায় ঠাণ্ডা পানি রক্তনালীকে সঙ্কুচিত করে দেয়। এমনকী, হজমের সময় যে সমস্ত পুষ্টিগুণ আমাদের দেহে শোষিত হয় তাতেও বাধা দেয়। এতে হজমে গোলমাল ঘটতে পারে।
মনে পড়ে, ছোটবেলায় বাড়ির বড়রা বলতেন, অত্যন্ত বেশি ঠাণ্ডা পানি খেলে গলা বসে যেতে পারে বা সর্দি হতে পারে। তাতে সায় দেন চিকিৎসকেরাও। বিশেষত, খাওয়ার পর ঠাণ্ডা পানি খাওয়া একেবারেই এড়িয়ে চলুন। কারণ, এতে রেসপিরেটরি ট্র্যাক্টে শ্লেষ্মার অতিরিক্ত আস্তরণ তৈরি হয়। তার থেকে প্রদাহজনিত সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, খাবারের স্নেহ পদার্থগুলোকে (ফ্যাট) ভেঙে দিতে বাধা দেয় বরফ-ঠাণ্ডা পানি। উল্টো, তা জমাট বাঁধিয়ে দেয়। পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, পানি যদি খেতেই হয় তবে খাওয়ার অন্তত আধা ঘণ্টা আগে বা পরে তা খেয়ে নিন।
সমীক্ষা বলছে, অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি খেলে তা হার্ট রেট কমিয়েও দিতে পারে। বরফ-ঠাণ্ডা পানি খেলে তা দাঁতের ভেগাস নার্ভকে স্টিমুলেট করে। এই ভেগাস নার্ভ আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যা হার্ট রেট কমিয়ে দিতে পারে।
কাজের পর বরফ-ঠাণ্ডা জল একেবারেই খাবেন না। কাজের পর দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। সে সময় বরফ-ঠাণ্ডা পানি খেলে তা দেহের তাপমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে পারে না। তাতে হজমের গোলমাল হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাজ শেষে বরং সামান্য গরম জল খান।
