ওই মামলায় খালেদা জিয়ার উপস্থিতিকে ঘিরে আজ পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টনী গড়ে তোলা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক আখতারুজ্জামান আদালতে আসেন।
আদালত বসার পর খালেদা জিয়াকে কেন আদালতে হাজির করা হয়নি তা সুনির্দিষ্ট করে আদালতকে জানান নি দুদকের আইনজীবী।এ সময় মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, ‘এই মামলার দুজন আসামি আদালতে উপস্থিত আছেন। অপর আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অনুপস্থিত রয়েছেন। প্রসিকিউটর হিসেবে আমার দায়িত্ব তাকে আদালতে হাজির করানোর। তার না আসার কোনো কারণ থাকতে পারে স্যার।
পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া এই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বাড়ানোর আবেদন করেন। তখন মোশাররফ হোসেন এর বিরোধিতা করে বলেন, খালেদা জিয়া অন্য একটি মামলায় কারাগারে আছেন। কারাগারে থাকার কারণে তার জামিনের কোনো সুযোগ নেই। তখন সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, জামিনের সঙ্গে কারাগারে থাকা বা না থাকার কোনো সম্পর্ক নেই।
দুই পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর বিচারক আখতারুজ্জামান বলেন, আগামীকালও এ মামলার শুনানির দিন ছিল। কিন্তু শুনানি হবে না। আগামী ৫ এপ্রিল এ মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হলো। একই সঙ্গে ওই দিন পর্যন্ত খালেদা জিয়া এই মামলার জামিনে থাকবেন বলে তিনি আইনজীবীদের জানান।
প্রসঙ্গত, ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এরপর থেকে তিনি নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। প্রায় সাত সপ্তাহ পর আজই প্রথম তিনি কারাগার থেকে বাইরে আসতে পারেন বলে ধারণা করা হয়েছিল । জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যে আদালত তাঁকে দণ্ডিত করেছেন, সেই আদালতেই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার চলছে।