আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নেপালের কাঠমান্ডুতে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত যাত্রীদের মধ্যে যাদের শনাক্ত করা হয়েছে তাদের কালই ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে। নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি অসিত বরণ সরকার বিকেলে বিবিসিকে জানিয়েছেন সব প্রক্রিয়া শেষ করে কাল ২১ জনের মৃতদেহ বিশেষ বিমানে ঢাকায় নেয়া হচ্ছে।
তবে রাতে নেপাল থেকে বাংলাদেশী চিকিৎসক দলের সদস্য সোহেল মাহমুদ বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন পরে তারা আরও দুটি মৃতদেহ শনাক্ত করনের কাজ শেষ করেছেন এবং সবগুলো মৃতদেহই কাল সোমবার ঢাকায় পৌঁছাবে। এছাড়াও আরও একটি মৃতদেহ সকাল নাগাদ শনাক্তকরনের কাজ শেষ হতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। মিস্টার মাহমুদ জানান শনাক্ত হওয়া মৃতদেহগুলোর কফিন প্রস্তুত হবার কাজ এখন চলছে।
কফিন প্রস্তুত হলে নেপালি কর্তৃপক্ষ সেগুলো বাংলাদেশ দূতাবাসের হাতে তুলে দেবেন। দূতাবাস সেগুলো বিশেষ বিমানে করে ঢাকায় পাঠাবে। ঢাকায় আত্মীয় স্বজনদের কাছে মৃতদেহগুলো হস্তান্তর করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যেসব মরদেহ ইতোমধ্যেই শনাক্ত করা হয়েছে সেগুলো আত্মীয় স্বজনকে দেখানো হয়েছে এবং তারাও শনাক্ত করতে পেরেছেন। তবে যেগুলো এভাবে শনাক্ত করা যাবেনা সেগুলো ডিএনএ নমুনা নিয়ে শনাক্ত করা হবে। সেক্ষেত্রে পাঁচজনকে ডিএনএ পরীক্ষা করতে হতে পারে বলে জানান তিনি। নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় পাইলট ও কো-পাইলটসহ মোট ২৬ জন বাংলাদেশী নিহত হয়েছিলো। এ দুর্ঘটনায় মোট নিহত হয়েছে ৫১ জন। এদিকে খবর পেয়ে দাফনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নিহতদের পরিবার। নিহত রফিক জামানের পারিবারিক বন্ধু সুমন জাহিদ বিবিসিকে জানিয়েছেন ঢাকায় জানাজার পর রফিক জামান, তার স্ত্রী সানজিদা হক বিপাশা ও তাদের সন্তান অনিরুদ্ধ জামানের মরদেহ কালই তারা নোয়াখালীতে নিয়ে যাবেন দাফনের জন্য।