
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিনি সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন নিহত ও ৭৫০ জন আহত হয়েছেন। ‘ল্যান্ড ডে’ বা ভূমি দিবসের ৪২তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার গাজা-ইসরায়েল সীমান্তে বিক্ষোভে অংশ নেন হাজারো ফিলিস্তিনি। সেখানেই ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের অধিকার এবং ভূমি দিবস উদ্যাপনের লক্ষ্যে সীমান্তবর্তী এলাকায় ছয় সপ্তাহব্যাপী বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ ডাক দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এই বিক্ষোভ শুরু হয়। আর শুরুর দিনেই এ হতাহতের ঘটনা ঘটল।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হচ্ছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৫০ জন। তবে রেড ক্রিসেন্টের তথ্য অনুযায়ী, অত্যন্ত সুরক্ষিত বেষ্টনী থেকে বিক্ষোভকারীদের হটাতে ইসরায়েলি বাহিনী কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছুড়লে সাড়ে ৭ শর বেশি লোক আহত হন।

একাধিক সূত্র জানায়, হতাহতের ঘটনাগুলোর বেশির ভাগই হয়েছে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে। বিক্ষোভ শুরুর আগে শুক্রবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস শহরের কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এক ফিলিস্তিনি কৃষক নিহত হন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বলছে, ছয় জায়গায় ‘দাঙ্গা’ চলছিল। ‘প্রধান উসকানিদাতাদের লক্ষ্য করে’ গুলি করা হয়েছে।
গাজা উপত্যকায় সক্রিয় সশস্ত্র সংগঠন হামাস অভিযোগ করেছে, ওই কৃষককে হত্যার মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনিদের ভয়ভীতি দেখাতে চাইছে ইসরায়েল। উদ্দেশ্য, ফিলিস্তিনিরা যাতে বিক্ষোভে অংশ না নেন।
ইসরায়েলি দখলদারির প্রতিবাদে ১৯৭৬ সালের ৩০ মার্চ প্রতিবাদ বিক্ষোভের সময় ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় ছয় ফিলিস্তিনি নিহত হন। দিনটির স্মরণে পালিত হয় ‘ল্যান্ড ডে’। দিবসটির স্মরণে আয়োজিত ‘গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন’ নামের বিক্ষোভ সামনে রেখে ইসরায়েলের সঙ্গে সীমান্ত লাগোয়া নিরপেক্ষ অঞ্চলের (বাফার জোন) প্রান্তে পাঁচটি ক্যাম্প তৈরি করেছেন ফিলিস্তিনিরা।