ইজরায়েলি সেনার গুলিতে প্যালেস্তিনীর নিহত ১৭

 আহতের চিকিৎসা  চলছে । ছবি: এএফপি।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইজরায়েল আর প্যালেস্তাইনের সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত গাজা ভূখণ্ড ও দু’দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা। ইজরায়েলি সেনার গুলিতে কালই মৃত্যু হয়েছিল সাত জন প্যালেস্তিনীয় বিক্ষোভকারীর। আহত হয়েছিলেন ৩০০ জন। এর পরের দিন শনিবার মারা গিয়েছেন আরও ১২ জন প্যালেস্তিনীয়। আহতের সংখ্যা ১২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছে প্যালেস্তাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

আনন্দবাজার জানায়, জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে দু’দেশের বিবাদ দীর্ঘদিনের। গত বছরের শেষের দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুসালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় দু’দেশের দ্বন্দ্ব আরও বাড়ে। জেরুসালেমে আগামী ১৪ মে দূতাবাস খুলতে চলেছে আমেরিকা। আর তারই প্রতিবাদে সরব প্যালেস্তিনীয়রা। তাঁদের দাবি, বহু বছর ধরে তাঁদেরকে সরিয়ে জোর করে ওই জায়গা দখল করে রেখেছে ইজরায়েল। ১৯৪৮ সালে সৃষ্টি হয় ইজরায়েলের। তখন থেকে বারবার সংঘর্ষ বেঁধেছে দু’দেশের। প্রাণ গিয়েছে বহু মানুষের।

ইজরায়েল সৃষ্টির ৭০ বছর পূর্তির কথা মাথায় রেখেই এ বছর আমেরিকা সেখানে দূতাবাস খোলার কথা ঘোষণা করেছে। আর প্যালেস্তিনীয়রা শুরু করেছেন ‘মার্চ অব রিটার্ন’। পাঁচটি শিবিরে ভাগ হয়ে ইজরায়েল সীমান্ত পেরোনোর চেষ্টা করেছেন হাজার হাজার প্যালেস্তিনীয়। আর বারবার ইজরায়েলি সেনাদের সঙ্গে সংঘাত বাঁধছে প্যালেস্তিনীয় বিক্ষোভকারীদের।

ইজরায়েলের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের নামে সন্ত্রাস চালাচ্ছে প্যালেস্তাইন। আর তাঁদের আবেগকে কাজে লাগাচ্ছে হামাস গোষ্ঠী। আজ প্রথমে ইজরায়েল সীমান্তে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন প্রায় তিরিশ হাজার প্যালেস্তিনীয়। দলে ছিলেন শিশু-মহিলারাও। ইজরায়েলি সেনা বাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে প্রথমে ড্রোনের সাহায্যে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে তাঁদের বাহিনী।

এতে দমে না গিয়ে জ্বলন্ত টায়ার, হাত বোমা নিয়ে আক্রমণ করেন প্যালেস্তিনীয়রা। তাঁদের ঠেকাতে ইজরায়েলের সেনা পাল্টা গুলি চালালে মৃত্যু হয় ১২ জন বিক্ষোভকারীর। দীর্ঘ দিন পরে আজকের বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া-ও। প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস আজকের দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করার কথা ঘোষণা করেছেন।

শনিবার দিনের শেষে গাজা ভূখণ্ডের তিনটি হামাস শিবিরে হামলা চালায় ইজরয়েলি সেনা। ট্যাঙ্কের পাশাপাশি বিমান হামলাও চলে। তবে এই হামলায় হতাহতের কোনও খবর নেই বলেই জানা গিয়েছে।

শর্টলিংকঃ