আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্লেন বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন ২২ জন।
সোমবার (১২ মার্চ) দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ত্রিভুবন আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়। নিহতের মধ্যে কয়েকজনের নাম প্রকাশ করছে সংবাদমাধ্যমগুলো; যাদের মধ্যে সবাই বাংলাদেশি।
নাম পাওয়া যাত্রীরা হলেন- উম্মে সালমা, রকিবুল হাসান, প্রীতিলা রশিদ, নাদিয়া আফরিন চৌধুরী।
নেপালের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে নেপাল পুলিশ বলেছে, এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৩৮।
নেপালের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র গোকুল ভান্ডারি এএফপিকে বলেন, কাউকে জীবিত উদ্ধার করার আশা প্রায় নেই। কারণ, উড়োজাহাজটি ভয়াবহভাবে পুড়ে গেছে।
এদিকে ড্যাশ-৮ পিএস ২১১ মডেলের ৭৬ আসনের প্লেনটি বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
উড়োজাহাজটিতে চারজন ক্রুসহ মোট ৭১ জন ছিলেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি পর্যটক ছাড়াও নেপালের নাগরিক ছিলেন বলে জানা গেছে।
দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, দুর্ঘটনার পরপরই সেখানে উদ্ধার কাজ চালায় দমকলসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ছুটে যায় সেনাবাহিনীও।
দুর্ঘটনার এখনও কোনো কারণ জানা যায়নি। তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, আমাদের ধারণা, যান্ত্রিক ক্রটির কারণে ল্যান্ডিংয়ের সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। দুর্ঘটনার পর বিমানবন্দরটি বন্ধ রাখা হয়েছে।