আঁখি হত্যা মামলার আসামীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে

কিশেোরী আখি হত্যাকারিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন। ছবি-দশের খবর

গাইবান্ধা :গাইবান্ধায় স্কুল ছাত্রী আঁখি আক্তারকে ধর্ষণের পর হত্যা করার প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে যাচ্ছে।কিন্তু ঘটনার সাথে জড়িতদের এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

অবশ্য পুলিশ ঘটনার পরপরই জড়িত সন্দেহে তিতু ও স্বপন নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করে।এই ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে শহরে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।মঙ্গলবার গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোডে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরনে জানা গেছে, সদর উপজেলার দক্ষিন ঘাগোয়া গ্রামের আক্কাছ আলীর মেয়ে আখি আক্তার চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারী সকালে জামা কাপর কেনার জন্য গাইবান্ধা শহরে আসে।এর পর সে আর বাড়ীতে ফেরেনি।এমনকি কোন আতœীয় স্বজনের বাড়ীতেও খোঁজ করে তাকে পাওয়া যায়নি।পরে ঘটনার ৯দিন পর ১৩ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাত সাড়ে নয়টার দিকে গাইবান্ধা-নাকাইহাট সড়কের তিনগাছেরতল সংলগ্ন আয়ান মিয়ার ইটভাটার উত্তর-পুর্ব কোনের টয়লেটের ভিতর থেকে আখির গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।এই ঘটনায় আখিঁর বাবা আক্কাছ আলী তিতু মিয়ার নাম উল্লেখ করে অপরিচিত আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা করেন।পরে ওই দিনই তিতুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন,আটককৃত যুবকের দেয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক স্বপনকে গ্রেফতার করা হয়।এরপর আখিঁর পরিবারের পক্ষ থেকে সন্দেহভাজনদের নাম মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তাকে(আয়ু) জানানো হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এখন পর্যন্ত এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডটির সঠিক রহস্য তুলে ধরতে এবং প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতারে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ।

মানববন্ধনে চলাকালে বক্তব্য দেন,সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি আলমগীর কবির বাদল, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক রিক্তু প্রসাদ, একুশে টিভি’র জেলা প্রতিনিধি আফরোজা লুনা, সংস্কৃতিকর্মী রওশন আরা মুক্তি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট গাইবান্ধা শাখার প্রকাশনা সম্পাদক শাহজাহান সিরাজ, গণউন্নয়ন কেন্দ্রের প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ তুহিন, মামুনুর রশিদ রুবেল, নিহত আঁখিমনীর মা আজেনা বেগম ও দাদী ধলি বেওয়া।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ও গাইবান্ধা সদর থানার ওসি তদন্ত মুহ: আরশেদুল হক জানান,আসামী তিতু ও স্বপনকে রিমান্ডে নিয়ে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

গাইবান্ধার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া বলেন, গত ২৩ মার্চ মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

শর্টলিংকঃ